ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ‘থাকছে না’ হোন্ডার ইলেক্ট্রিক গাড়িতে

ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ‘থাকছে না’ হোন্ডার ইলেক্ট্রিক গাড়িতে
ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। ছবি: হোন্ডা

জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি টয়োটা যেখানে তাদের ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলোতে (ইভি) ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন রাখার কথা বিবেচনা করছে, সেখানে তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হোন্ডা ইঙ্গিত দিয়েছে আসন্ন ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলোতে কোনো ধরনের সিমুলেটেড বা কৃত্রিম ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন না রাখার। 

এমনকি হোন্ডার আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ স্পোর্টসকারেও হয়তো কৃত্রিম ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন থাকবে না। 

মোটরগাড়ি সংক্রান্ত মার্কিন ম্যাগাজিন 'কার অ্যান্ড ড্রাইভার'-এর সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে হোন্ডার প্রধান নির্বাহী এবং ইলেক্ট্রিফিকেশন বিভাগের প্রধান এই ইঙ্গিত দেন। 

উল্লেখ্য, ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন (স্টিক শিফট নামেও পরিচিত) হচ্ছে গিয়ার, শিফটসহ অনেকগুলো উপাদানের সমন্বয়, যা চালককে টর্ক ও গতির অনুপাত সরবরাহ করে। ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের গাড়িতে চালককে পায়ের নিচে ক্লাচে চাপ দিয়ে গাড়িকে ড্রাইভ, পার্কিং ইত্যাদি মোডে পরিবর্তন করতে হয়।

টেসলার মতো আধুনিক ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলোতে সিঙ্গেল স্পিড ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়। যদিও পোরশে টাইকান এবং আউডি ই-ট্রন জিটি গাড়িগুলোতে ডাবল স্পিড ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে করা টয়োটার একটি পেটেন্ট থেকে অনুমান করা যায় যে কোম্পানিটি হয়তো তাদের ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলোর জন্য আরও বিস্তৃত ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন সিস্টেমের কথা বিবেচনা করছে। যেখানে ক্লাচ, গিয়ার সিস্টেম এবং 'ভার্চুয়াল' গিয়ার রেশিও থাকবে।   

হোন্ডার কর্মকর্তারা যদিও বলছেন ইলেক্ট্রিক গাড়িতে কার্যকর ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ব্যবহারের কথা বলা সহজ, কিন্তু করা কঠিন। কোম্পানিটির ইলেক্ট্রিফিকেশন বিভাগের প্রধান শিনজি আয়োইয়ামা বলেন, 'কৃত্রিমভাবে আমরা এটা করতে পারি। কিন্তু যান্ত্রিকভাবে (মেকানিক্যালি) এটা করা কঠিন।'

আয়োইয়ামা স্বীকার করেছেন, তিনি নিজে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশনের জন্য আর্টিফিশিয়াল সলিউশন পছন্দ করেন না, তাই হোন্ডার ইলেক্ট্রিক গাড়িগুলোতে ড্রাইভিং উপভোগ্য করতে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হবে। হোন্ডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তোশিহিরো মাইব বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির গাড়িগুলোর তুলনায় তাদের গাড়িগুলো হতে হবে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং চালানোর অভিজ্ঞতার দিক থেকেও আলাদা হতে হবে। 

তোশিহিরো মাইবের নিজেরও ইলেক্ট্রিক গাড়িতে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন থাকা নিয়ে আপত্তি আছে। তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিত না আমরা এই ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন পরিবর্তন করতে পারব কি না।' 

তবে হোন্ডার ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন যারা পছন্দ করতেন, তাদের এখনই হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। হোন্ডার ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন আরও অনেক দিন বাজারে থাকবে। যদিও কোম্পানিটি ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাণের দিকে এখন অনেক জোর দিচ্ছে, তারপরও ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে মোট বিক্রিত গাড়ির ৪০ শতাংশ হবে ইলেক্ট্রিক গাড়ি। ২০৪০ সালের মধ্যে এটি শতভাগে উন্নীত করা হচ্ছে তাদের লক্ষ্য।

 

তথ্যসূত্র: কার অ্যান্ড ড্রাইভার ডটকম

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

2h ago