পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত সিলেটের কদমতলী বাস টার্মিনাল

ছবি: সংগৃহীত

অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধাসহ সিলেট নগরীর নবনির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনাল বুধবার বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

নগরীর কদমতলীতে নির্মিত বাস টার্মিনালটিকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে সব সুযোগ-সুবিধা ও সেবা পরীক্ষার জন্য অনানুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়।

এ সময় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, 'দেশসেরা সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই বাস টার্মিনাল সিলেটের জন্য গর্বের। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলে এ টার্মিনাল পরিবহন ব্যবস্থায় সিলেটকে বিশ্বমানে উন্নীত করবে।'

তিনি বলেন, 'বাস টার্মিনালের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সবাইকে করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে বাস টার্মিনালের সেবা প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না। সবাই মিলে সেবার মান ও সুবিধা যাত্রী সাধারণের জন্য নিশ্চিত করতে পারলেই সার্থকতা আসবে।'

পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করার সময় কয়েকটি বাস টার্মিনালের আগমন অংশে আসে এবং যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে নির্ধারিত পার্কিং এলাকায় যায়। এ সময় বাস টার্মিনালে শত শত মানুষ সমবেত হয়।

কদমতলী বাস টার্মিনাল ঐতিহ্যবাহী 'আসাম টাইপ' বাড়ির নির্মাণশৈলী অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছে। এ নির্মাণশৈলী ১৮৯৭ সালের আসাম ভূমিকম্পের পর সিলেটের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে।

সাড়ে ৮ একর জমিতে প্রায় ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মিউনিসিপ্যাল গভর্নেন্স সার্ভিস প্রজেক্টের আওতায় এ বাস টার্মিনাল নির্মাণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

স্থপতি সুব্রত দাস, রবিন দে এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন যৌথভাবে টার্মিনালটির নকশা করেন। ঢালি কনস্ট্রাকশন চুক্তিভিত্তিক এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ করেছে।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে স্থপতি সুব্রত দাস বলেন, 'আমরা নকশা করার সময় সিলেটের ঐতিহ্যকে দৃশ্যমান করেছি, কিন্তু চেয়েছি যাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে। প্রচলিত বাস টার্মিনালের ডিজাইনে সাধারণত সামনে আগমন ও বহির্গমনের ব্যবস্থা থাকে এবং পেছনে থাকে যাত্রী সেবার সুবিধা। কিন্তু এখানে আমরা তার বিপরীত করেছি।'

বহির্গমন ভবনে ৯৭০ জন যাত্রীর বসার আসন, ৩০টি ভিআইপি আসন, ৩০টি টিকিট কাউন্টার, একটি স্তন্যপান করানোর জোন, লকার সুবিধা, ধূমপান জোন, প্রার্থনা হল, মেডিকেল বে, রেস্টুরেন্ট ও কনভেনিয়েন্ট স্টোর রয়েছে।

আগমন ভবনে ২০০ যাত্রীর আসন, ফুড কোর্ট এবং কনভেনিয়েন্ট স্টোরসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়াও একটি পৃথক বহুমুখী কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে বাস মালিক চালকদের জন্য অফিস এবং ২৪ শয্যার বোর্ডিং হাউজ আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Joy in the wild: Families flock to National Zoo for Eid fun

On the second day of Eid, the National Zoo in Dhaka turned into a vibrant celebration of life, laughter, and togetherness

56m ago