কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

চ্যাটবট হার্ডওয়্যারের চিপ বানাবে দক্ষিণ কোরিয়া

রেবেলিয়ন্স ইঙ্ক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পার্ক সুংহিউন । ছবি: রয়টার্স
রেবেলিয়ন্স ইঙ্ক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পার্ক সুংহিউন । ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান রেবেলিয়নস ইঙ্ক সরকারি কাজ পাওয়ার জন্য একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ লঞ্চ করেছে।

আজ সোমবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এ মুহূর্তে প্রযুক্তির বিশ্বে সবচেয়ে সাড়া জাগানো নাম হচ্ছে চ্যাটজিপিটি—মাইক্রোসফটের পৃষ্ঠপোষকতায় চালিত স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইর এই চ্যাটবট প্রবন্ধ, গল্প, কৌতুক, এমন কী কবিতাও লিখতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার মাত্র ২ মাসের মাথায় এই অ্যাপ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া অ্যাপে পরিণত হয়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেফরিস এর চিপ বিশ্লেষক মার্ক লিপাসিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ-প্রযুক্তির এআই চিপের বাজারে একক আধিপত্য বিস্তার করছে মার্কিন চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ৬ ক্লাউড সেবার ৮৬ শতাংশ কম্পিউটিং ক্ষমতা এসেছে এনভিডিয়ার চিপ থেকে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার একটি স্থানীয় চিপ খাত গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ৫ বছরে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য এই খাতে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিউল। এ মুহূর্তে স্থানীয় ডাটা সেন্টারগুলোতেও অন্য দেশে নির্মিত এআই চিপ ব্যবহার হচ্ছে। ২০৩০ নাগাদ ৮০ ভাগ চিপ দেশে নির্মাণ করতে চায় দেশটি।

রেবেলিয়ন্স ইঙ্ক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পার্ক সুংহিউন জানান, তাদের অ্যাটম চিপ কম্পিউটার ভিশন ও চ্যাটবট এআই ভিত্তিক অ্যাপ চালানোর জন্য বিশেষ ভাবে নির্মিত। যেহেতু অনেক বেশি কাজ করতে হয় না, তাই এনভিডিয়ার এ১০০ চিপ এসব কাজের জন্য যতটুকু প্রসেসিং ক্ষমতা ব্যবহার করে, তার প্রায় ৫ ভাগের ১ ভাগ ব্যবহার করে অ্যাটম।

তাইওয়ান, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা করলেও দক্ষিণ কোরিয়া আলাদা করে এআই নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে, যেটি বেশ বিরল ঘটনা।

এ মাসে সিউল ২টি ডাটা সেন্টারের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করবে। শুধু স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এতে অংশ নিতে পারবে বলে দেশটির বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

রেবেলিয়নের প্রধান নির্বাহী পার্ক জানান, সরকারি সহায়তা না পেলে ডাটা সেন্টার ও তাদের ভোক্তারা এনভিডিয়ার চিপই ব্যবহার করতেন।

এই দরপত্র প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার আরও কিছু প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে ফিউরিওসাএআই, সাপিওন কোরিয়া ও কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

5h ago