চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কমছে আমদানি, বাড়ছে ব্যয়

চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

মার্কিন ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি আগের বছরের তুলনায় আড়াই শতাংশ কমেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি দিয়ে প্রায় ৪৩ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৪ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন টন।

প্রথম ৬ মাসের শেষে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, এই বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৫৪৪ ধরণের পণ্যের আমদানি হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যান্য ২ হাজার ৪১০টি পণ্যের আমদানি বেড়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, মার্কিন ডলারের উচ্চমূল্যের কারণেই মূলত ব্যয় বেড়েছে।

তিনি বলেন, 'বেশ কিছু আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়েছে এবং এর ফলে, আমদানি কমলেও ব্যয় বেড়েছে।'

যে ধরনের পণ্যের আমদানি কমেছে তার মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত জাহাজ, ২ হাজার সিসির কম রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এবং স্টিল, সিমেন্ট ক্লিংকার, সোডিয়াম সালফেট ও সোডিয়াম কার্বোনেটের মতো কিছু কাঁচামাল।

এ ছাড়া, সয়াবিন, আপেল, সরিষা, অপরিশোধিত চিনি, পেট্রোলিয়াম তেল, ফার্নেস অয়েল, ছোলা, ইউরিয়া সারের মতো পণ্যের চালানও কমেছে।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে ৮৮৯ কোটি টাকা মূল্যের ৩০ লাখ ৮৯ হাজার টন কাঁচামাল আমদানি হয়েছে, যা আগের আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা মূল্যের ৪২ লাখ ৬০ হাজার টন।

গত জুলাই থেকে ডিসেম্বরে পরিত্যক্ত জাহাজ আমদানি হয়েছে ২ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা মূল্যের ৪ লাখ টন। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ হাজার ৮০২ কোটি টাকা মূল্যের ১২ লাখ টন।

একইভাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৪১৪ কোটি টাকা মূল্যের ৮০ হাজার টন পরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৮ শতাংশ কম।

বিপরীতে ডিজেল, কয়লা, পাথর, বীজ, স্ল্যাগ, পাম তেল, গম, অকটেন, অপরিশোধিত তেল, তুলা, বিটুমিন ও লোহার টিউবের মতো পণ্যের আমদানি গড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

এই সময়ে ১১ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২৫ দশমিক ৩১ লাখ টন জ্বালানি আমদানি করা হয়েছে, আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪৮ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ৭ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার ১৭ লাখ ১৫ হাজার টন জ্বালানি।

তবে একই সময়ে ডিজেল আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে ৬৫ শতাংশ বা ৪ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা।

একইভাবে, কয়লা আমদানি বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ।

জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পাথরের আমদানি ২১ শতাংশ বাড়লেও আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩৩৪ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English
Khamenei advisers killed by Israeli airstrike

Iran vows retaliation after US strikes on nuclear sites

"The Zionist enemy... is being punished right now," Khamenei wrote on social media.

24m ago