মোবাইল আসক্তি কমাতে মিউজিক বেছে নিয়েছেন আজম
মোবাইলের পেছনে খুব বেশি সময় ব্যয় করে ফেলছিলেন। এমন অভ্যাস ভালো লাগছিল না তার। তাই হাতে তুলে নিলেন গিটার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবের সাহায্য নিয়ে বাজানোর পাশাপাশি গাইতে শুরু করলেন গান। মোবাইল আসক্তি কেটে তো গেলই, স্নায়ুচাপ জয় করাতেও মিলল সুফল। গল্পটা খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আজম খানের।
এবারের বিপিএলে দেখা গেছে ২৪ বছর বয়সী আজমের ব্যাটিং ঝলক। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তোলার জন্য পরিচিতি আছে তার। খুলনার হয়ে চলমান আসরে ৯ ম্যাচে ৪৫.২০ গড় ও ১৫৯.১৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ২২৬ রান। ফিফটি না থাকলেও নামের পাশে একটি সেঞ্চুরি আছে তার। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গত ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস।
সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের স্বীকৃত ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে আজম বলেছেন মিউজিকে ডুব দেওয়ার পেছনের ঘটনা, 'মিউজিকে আমি সম্পৃক্ত হয়েছি কারণ আমার কাছে মনে হতো যে আমি মোবাইল বেশি ব্যবহার করছি। কিছু কিছু সময় যা আমাকে ক্লান্তও করে দিত। এজন্য নিজ থেকে উপলব্ধি করে মিউজিকে মনোযোগ দেই যা আমাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। সেখান থেকেই আমি হাতে গিটার তুলে নেই। আমি নিজ নিজে গিটার বাজানো শিখি। কোনো ট্রেনার ছিল না। ইউটিউব থেকেই শিখেছি।... আমি যখন কোনো ম্যাচ নিয়ে নার্ভাস হই, তখন গিটার হাতে নেই এবং কয়েকটি গান গাই।'
আজমের বাবা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মইন খান। তাকে দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার অনুপ্রেরণা মিলেছিল, 'আমি আমার বাবাকে দেখেই ক্রিকেট খেলা শুরু করি। তাকে মাঠে দেখা এবং টিভিতে তার খেলা দেখা আমার জন্য অনু্প্রেরণাদায়ক ছিল। এজন্য ক্রিকেটকে বেছে নেওয়া। আমার পড়াশোনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমার শুরুর পরিকল্পনাই ছিল ক্রিকেট খেলা। আমি এখন বিশ্বজুড়ে খেলছি। ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে আমার।'
বিপিএলে এবার নজরকাড়া ব্যাটিং উপহার দেওয়া আজম মতে, এটা দারুণ একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর, 'আমি মনে করি, এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট। বিশেষ করে, বাংলাদেশি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটা বড় একটি টুর্নামেন্ট। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় খেলে তারা অনেক কিছু শিখবে। নিশ্চয়ই জানেন এখানকার উইকেট কঠিন। উপমহাদেশে যখন খেলবেন, তখন কঠিন উইকেটই পাবেন।'
২০২১ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের স্বাদ পান আজম। চট্টগ্রামের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরিটি ছিল স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম। সেটা নিয়ে ভীষণ খুশি তিনি, 'আমি যখন সেঞ্চুরিটা পেলাম... আমার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকা। আমি খুব সুন্দর টাইমিং করছিলাম। তাই জানতাম যে আমার পক্ষে সেঞ্চুরি করা সম্ভব। এটা হয়েছে এবং এজন্য আমি খুব খুশি।'
Comments