যমুনা সার কারখানায় ফের উৎপাদন বন্ধ

ছবি: স্টার

দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানা ফের ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ। গতকাল রোববার সন্ধায় সার কারখানার রিফরমার টিউব লিকেজ দেখা দেওয়ায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। 

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় পরে তা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টনে নেমে আসে। গত বছরের জুন মাসে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় ২১ জুন যমুনা সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদনে ফেরে যমুনা সারকারখানা।  

এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস পন্দেকারের নেতৃত্ব একটি দল কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ভুল বাটনে চাপ দেন। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্লান্ট বন্ধ হয়ে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। কয়েকদিন চেষ্টায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হলেও রোববার সন্ধায় কারখানার রিফরমার টিউব লিকেজ দেখা দেওয়ায় ফের ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

যমুনা সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করেন। দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় সার সংকটে চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ায় শঙ্কায় আছেন সার ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদুল্লাহ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যান্ত্রিক ত্রুটিতে কারখানার উৎপাদন বন্ধ। ত্রুটি সারিরে দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎপাদন ফেরার কাজ চলছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

5h ago