সন্তানদের দেখতে ঢাকায় আসা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

পুলিশের ভাষ্য, গত ২৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আরও ২ জন তাদের সহযোগিতা করেন।
গ্রেপ্তার ৫ জন। ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ৪ মাস পর সন্তানদের দেখতে যশোর থেকে ঢাকায় আসা এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের ভাষ্য, গত ২৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আরও ২ জন তাদের সহযোগিতা করেন।

গতকাল শনিবার ঢাকার গাবতলী, ডেমরা ও বসিলা এবং ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে ৫ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তারা হলেন- বিল্লাল হোসেন (২৫), আল-আমিন হোসেন (২৬), সবুজ (২৬), রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল (২৪) এবং শফিকুল ইসলাম (২৬)।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের কাজে ব্যবহৃত ২টি রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ও প্রযুক্তির সহায়তায় এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৫ জানুয়ারি ভিকটিম (বয়স আনুমানিক ২৯ বছর) যশোর থেকে সন্তানদের দেখতে বসিলায় আসেন। সেখানকার একটি বাসায় তার সাবেক স্বামী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।

সেদিন ওই বাসায় পৌঁছে স্বামী-সন্তানদের না পেয়ে ওই নারী তাদের আশপাশের এলাকায় খুঁজতে থাকেন। পরে তাদের না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বসিলার ৪০ ফুট ৩ রাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশায় ওঠেন। রিকশাচালক তাকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে না নিয়ে স্বামীর বাসা খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঢাকা উদ্যান এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকেন।  

আজিমুল হক জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভিকটিমকে নিয়ে ওই রিকশাচালক বসিলা ফিউচার টাউনের একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ৫ জন তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারীর চিৎকারে এলাকার নিরপত্তা প্রহরী এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা তাকে ফেলে পালিয়ে যান।

এ অবস্থায় ওই নিরাপত্তা প্রহরীসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাটি মোহাম্মদপুর থানায় অবহিত করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়।

ডিসি আজিমুল হক বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থলে ৭ জন ব্যক্তি ও ৩টি রিক্সার উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। এর আগে এ ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকা থেকে শাহিন খান (১৯) কে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Prof Muhammad Yunus for a road map to reforms and the next general election.

4h ago