খুলনায় আ. লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে উৎকণ্ঠা

খুলনা মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোড নগর ভবনের সামনে বিএনপির সমাবেশে যোগ দেওয়ার নেতাকর্মীদের একাংশ। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

নিত্যপণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। অপরদিকে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রতিবাদে খুলনা নগরের শিববাড়ি মোড়ে দুপুর ৩টায় শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

খুলনা শহরে দীর্ঘদিন পর বড় ২ রাজনৈতিক শক্তি কর্মসূচি পালন করায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, দুপুর ১২টা থেকেই সেখানে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখছেন।

খুলনা বিভাগের জেলাগুলো থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা একদিন আগেই খুলনা নগরীতে এসে লিফলেটসহ অন্যান্য জনসংযোগে অংশ নিয়েছেন।

আজ সকাল ১০টার পর থেকেই খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী হাজির হয়েছেন এবং সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে এসেছেন। বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান করছেন সমাবেশস্থলে।

এই সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিভাগীয় সাংগঠনিক (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-তথ্য সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা।

নগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শান্তি সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জমায়েত হচ্ছেন সমাবেশের জন্য। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানাসহ কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন।'

আওয়ামী লীগের সমাবেশে স্থলে দলটির নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।

বিএনপির সমাবেশস্থলের ১০০ গজের মধ্যে খুলনা শিশু হাসপাতাল ও খুলনার সদর হাসপাতাল। ফলে রোগী ও রোগীদের স্বজনরা রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।

খুলনার বটিয়াঘাটা চক শৈলমারি গ্রাম থেকে খুলনা সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন তৃপ্তি রানী বৈরাগী। তার স্বামী বিপ্রদাস বৈরাগী বলেন, 'ভয়ে আছি। হাসপাতাল থেকে বিএনপির সমাবেশস্থল খুব কাছে। যদি কোনো মারামারি হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব? আর মাইকের শব্দ তো আছেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

7h ago