কোনো নায়িকার প্রেমে পড়িনি: সজল

ছবি: সজলের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও টেলিভিশন নাটকে ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন সজল। অনেক পরে এসে সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। এখন একইসঙ্গে নাটক, সিনেমা ও ওটিটিতে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছরে তার অভিনীত একাধিক সিনেমা মুক্তি পাবে।

অভিনয়সহ নানা বিষয়ে সজল দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আপনার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং দিয়ে।

সজল: হ্যাঁ, বেশ আগে সেটা। আফজাল হোসেনের পরিচালনায় মডেলিং শুরু। পরে এসে আরও অনেকের পরিচালনায় করেছি। মডেলিংয়ে শুরুটা বেশ ভালোভাবে হয়েছিল।

আফজাল হোসেন ও হুমায়ুন ফরীদি ২ জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সজল: ২ জনই দেশের বিখ্যাত অভিনেতা। এত মেধাবী শিল্পী যা বলে শেষ করা যাবে না। আমার সৌভাগ্য ২ জনের সঙ্গেই অভিনয় করার সুযোগ ঘটেছে। তাদের কাছে আমি ঋণী। ফরীদি ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করার স্মৃতি এখনও চোখে ভাসে। তিনি শুধু বড় অভিনেতা নন, বড় মাপের মানুষও। আফজাল হোসেনও একই রকম। আফজাল হোসেনের সহযোগিতার কথা ভুলব না কখনো। আমার জীবনে তার ভালেবাসা ও আশীর্বাদ অনেক।

মৌসুমী, পূর্ণিমা, পপিসহ সিনেমার অনেক নায়িকার সঙ্গে নাটকে অভিনয় করেছেন। কার সঙ্গে কাজ করে বেশি ভালো লেগেছে?

সজল: এককভাবে কারও নাম বলতে চাই না। সবার সঙ্গে অভিনয় করেই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা স্মৃতি আছে, প্রত্যেকই ভালো করেছেন। মৌসুমী আপা আমাকে ছোট ভাইয়ের মতোই স্নেহ করেন। পূর্ণিমার হাসি অসাধারণ। পপিও দারুণ। সবাই ভালো।

মম ও মেহজাবীনের সঙ্গে অনেক নাটক করেছেন। প্রেমে পড়েছেন কোনো নায়িকার?

সজল: না, কোনো নায়িকার প্রেমে পড়িনি। মম ভীষণ ভালো অভিনেত্রী। মেহজাবীনও অসাধারণ অভিনেত্রী। মেহজাবীন নিজেকে অনেক দূর নিয়ে গেছে। ২ জনই আমার খুব প্রিয়।

কেউ কেউ বলেন গত ২০ বছরে একই রকম আছেন। চেহারায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।

সজল: এটা সৃষ্টিকর্তার রহমত। আমি কিছু মেইনটেইন করি। খাওয়াদাওয়া হিসেব করে খাই। নিয়ম করে ঘুমাই, নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠি, সবকিছু নিয়মমত করি। এটা সৃষ্টিকর্তার দান। আমি চেষ্টা করি ভালো থাকতে।

আপনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। তারকা হওয়ার পর সেখানে যাওয়া হয়?

সজল: নিজেকে সাধারণ মানুষ মনে করি, তারকা নয়। অন্য ১০টা মানুষের মতো আমিও একজন মানুষ। আমি পড়ালেখা করেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওটা আমার প্রাণের ক্যাম্পাস। সময় পেলেই চলে যাই সেখানে। মন চাইলেই দেখতে চাই, কিছুটা সময় কাটাই। আমাকে টানে ক্যাম্পাস এখনও। ওখানে প্রকৃতির কাছে গেলে মন ভালো থাকে।

ওটিটিতে কতটা ব্যস্ত?

সজল: ওটিটিতে বেশকিছু কাজ করছি। শুটিং চলছে। কোনোটার শুটিং শেষ করেছি। এ বছর ওটিটিতে কিছু কাজ আসবে। আমার বিশ্বাস সেগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে।

মুক্তিযুদ্ধের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

সজল: করেছি, দারুণ একটি গল্পের সিনেমা। আমাকে নতুনভাবে দেখা যাবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছি। সত্যি কথা বলতে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় বারবার অভিনয় করতে চাই। এসব গল্প আমাকে টানে খুব।

আাপনি তো পুরান ঢাকার মানুষ।

সজল: হ্যাঁ, ঢাকার মানুষ হিসেবে ভালো লাগে। আমার ছোটবেলা কেটেছে পুরান ঢাকায়। ফুটবল খেলা, ক্রিকেট খেলা, সব ধরনের খেলার স্মৃতি পুরান ঢাকায়। এখনো সাকরাইন উৎসবে ছুটে যাই আমি। পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো দারুণভাবে মনে পড়ে। আমি ঢাকাকে ভীষণ ভালোবাসি।

Comments

The Daily Star  | English

$14b lost to capital flight a year during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

10h ago