‘২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন না, প্রতিহতের চেষ্টা করেছিল’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন না, প্রতিহতের চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, 'পৃথিবীর কোথাও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই, আছে শুধু পাকিস্তানে। বিএনপি তো পাকিস্তানকেই অনুকরণ করে। আমাদের দেশে ভোট হবে সেভাবে, যেভাবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানে ভোট হয়। যেখানে যখন ভোট হয়, তখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা রুটিন কাজ করে। তারাই কিন্তু দেশের ক্ষমতায় থাকে। তাদের অধীনে নির্বাচন হয় না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়। আমাদের দেশেও তাই হবে।'

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি বাহানা অলিক স্বপ্ন মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'বিএনপি বুঝতে পেরেছে তারা আসলে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল এবং নির্বাচনে প্রথম ২৯টি আসন পেয়েছিল। উপনির্বাচনে আরও দুএকটি বেড়ে ৩০টি অতিক্রম করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন তারা বর্জন না, প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। গণতন্ত্রকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেখানে রক্ষিত শিশু-কিশোরদের বই পুড়িয়ে দিয়েছিল। কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।'

'তারা গণতন্ত্রের পথ রোধ করার চেষ্টা করলেও গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত ছিল। ২০১৮ সালে তারা ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম—সবাই মিলে ঐক্য করেছিল। ঐক্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। বিএনপির আসন সংখ্যা ৬টি। ২০১৮-এর নির্বাচনের পর দেশে আরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ২০০৮ সালে ২৯টি, পরে ৩০টি অতিক্রম করেছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে বিএনপি মাত্র ৬টি আসন পেয়েছে। আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো আশা নেই সে জন্য সব বাহানা তারা উপস্থাপন করছে,' বলেন তিনি।

'নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা—বিএনপির অবস্থা তা' বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আমরা খেলে জিততে চাই। যেভাবে আমরা জিতেছি ২০০৮ সালে, ২০১৮ সালে কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না করা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তারা ২০১৪ সালে যেটি করেছিল সেটি করার সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ আর দেবে না। ২০১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের মোকাবিলা করেছি, এবার যদি তারা সেগুলো করার অপচেষ্টা চালায় জনগণ তাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে।'

বিএনপি নেতারা বলছেন, আগামীকাল রাজশাহীর জনসভায় লোক হবে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, 'যারা এই কথা বলছেন, তাদের আমি রাজশাহীতে আমন্ত্রণ জানাই। প্রয়োজনে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করে দেবো, তারা উপর থেকে দেখতে পারবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Specific laws needed to combat cyber harassment

There is an absence of a clear legal framework and proper definitions when it comes to cyber violence against women, speakers said at an event yesterday.They urged for specific legislation to combat such crimes..The roundtable, titled “Scanning the Horizon: Addressing Cyber Violence agains

2h ago