কাঁদলে নাকে পানি আসে কেন
মানুষ যখন দুঃখ বা কষ্টের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন তার চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ে। কান্নার সময় কেবল চোখ দিয়ে পানি পড়ে তা নয়, অনেক সময় নাক দিয়েও পানি পড়ে।
মানুষের কান্না কোনো বিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ড কি না, তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে কীভাবে কান্নার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের কিছুটা স্বচ্ছ ধারণা আছে।
আমরা যখন আবেগাক্রান্ত হই, তখন আমাদের মস্তিষ্ক অশ্রুনালীকে সংকেত পাঠায় এবং অশ্রুনালী সেখান থেকে অশ্রু বিসর্জন করে।
কিন্তু মস্তিষ্কের এই সংকেত নাকে যায় না। তাহলে কান্নার সময় নাকে পানি আসে কেন?
আসলে নাকে যে পানি আসে, সেটিও অশ্রুই। কান্নার সময় উৎপাদিত অশ্রুর কিছু অংশ চোখ দিয়ে বের হয়ে আমাদের চেহারা দিয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ে। কিন্তু বাকি অশ্রু অশ্রুনালী থেকে আমাদের নাকের ভেতরে প্রবেশ করে। এই অশ্রু নাকের শ্লেষ্মার সঙ্গে মিশে আরও বেশি তরল পদার্থ তৈরি করে, যা আমাদের নাক দিয়ে বের হয়ে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যাংগন মেডিকেল সেন্টারের জেনারেল অ্যান্ড স্লিপ অটোলারিনজোলজি বিভাগের পরিচালক ড. এরিক ভইট বলেন, 'কান্নার সময় নাকে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয় না। উৎপন্ন অশ্রু শুধু নাকে থাকা শ্লেষ্মার সঙ্গে মিশে নাককে ভিজিয়ে তোলে।'
কেবল কাঁদলেই নাক দিয়ে পানি পড়বে, তা নয়। ঝাল কিছু খাওয়ার সময়ও নাকে পানি আসে। তখন নাকের আচরণও ভিন্ন হয়। অতিরিক্ত ঝাল কিছু খাওয়ার সময় নাক নিজেই অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে। ঝাল থেকে শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়াকে রক্ষা করার জন্য এটা নাকের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডার সময়ও নাকে বাড়তি মিউকাস জমা হয় এবং সেটি বাইরের ঠাণ্ডাকে নিঃশ্বাসে সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশে বাধা দেয়।
Comments