ইউক্রেনের লবণখনির শহর সোলেদার দখলের দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখলের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনের দক্ষিণ সোলেদারের একটি স্যাটেলাইট ভিউ। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তারা ইউক্রেনের লবণখনির শহর হিসেবে পরিচিত সোলেদারের দখল নিয়েছে। তারা শহরটিকে তাদের যুদ্ধকৌশলের জন্য 'গুরুত্বপূর্ণ' বলে জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রুশ মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিজয়ের ফলে রুশ সেনারা কাছের শহর বাখমুতের দিকে অগ্রসর হবে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পিছু হটাবে।

তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, সোলেদারে এখনো লড়াই চলছে এবং তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে 'তথ্য বিভ্রাটের' অভিযোগ করেছেন।

বিবিসি বলছে, সোলেদার দখলের লড়াই ছিল এই যুদ্ধের অন্যতম রক্তক্ষয়ী লড়াই। শহরটি তুলনামূলকভাবে ছোট, কিন্তু কৌশলগত তাৎপর্য আছে। তাই রুশ বাহিনী যদি নিশ্চিতভাবে এর দখল নিতে পারে তাহলে ক্রেমলিন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।

আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বৃহস্পতিবার বলেছেন, ১৫ জন শিশুসহ ৫৫৯ জন বেসামরিক নাগরিক সোলেদারে থেকে গেছে। তাদের বের করে আনা সম্ভব হয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর জন্য শহরটির তাৎপর্য সামরিক বিশ্লেষকদের দ্বারা বিতর্কিত। কারণ এটি অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার জানিয়েছে, রুশ বাহিনী সোলেদার দখল করেছে বলে ধারণা করা হলেও, তারা বাখমুতকেও দখল করতে পারবে বলে মনে হয় না। তারপরও যদি রুশ সেনারা এর দখল নিতে পারে তাহলে মস্কো এটিকে অন্যতম অগ্রগতি হিসেবে দেখবে, এমনকি একটি বিজয় হিসেবেও দেখবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য এই মুহূর্তে এটিই প্রয়োজন। কারণ ২০২২ সালের জুলাই থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের একটি শহরও দখলে নিতে পারেনি। ইউক্রেনের সফল পাল্টা আক্রমণ রাশিয়াকে উত্তর-পূর্বের খারকিভ অঞ্চল থেকে প্রায় পুরোপুরি সরিয়ে দেয়। অক্টোবরে রাশিয়ার কের্চ সেতু আক্রমণের শিকার হয়, পরের মাসে রাশিয়ান বাহিনী খেরসন শহর থেকে পিছু হটে।

খেরসন একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী ছিল যা আক্রমণ শুরুর পর থেকে দখল করতে সক্ষম হয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু, পরে আবার ইউক্রেনের হাতে ফিরে আসে।

তবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র সের্হি চেরেভাটিই রুশ বাহিনীর সোলেদার দখলের কথা অস্বীকার করে বলেন, 'আমরা আর বিস্তারিত কিছু বলব না, কারণ আমরা যোদ্ধাদের কৌশলগত অবস্থান প্রকাশ করতে চাই না।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

6h ago