রুশ ভাড়াটে সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ সোলেদার শহর দখলের দাবি

রুশ ভাড়াটে সেনার দল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লবণের খনির জন্য পরিচিত শহর সোলেদারের দখলের দাবি করেছেন। ছবি: রয়টার্স
রুশ ভাড়াটে সেনার দল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লবণের খনির জন্য পরিচিত শহর সোলেদারের দখলের দাবি করেছেন। ছবি: রয়টার্স

রুশ ভাড়াটে সেনার দল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লবণের খনির জন্য পরিচিত শহর সোলেদারের দখলের দাবি করেছেন। তবে শহরের কেন্দ্রে যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় এই দাবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আজ বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সোলেদার শহরকে রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করে। কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুত ও দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে এর দখল জরুরি।

আল জাজিরা যুদ্ধক্ষেত্রের প্রকৃত পরিস্থিতি যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বাখমুত পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

গতকাল মঙ্গলবার ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন গণমাধ্যমকে বলেন, 'ওয়াগনারের বাহিনী সোলেদারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শহরের কেন্দ্রে সেনাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। যেখানে সংঘর্ষ অব্যাহত আছে।'

'বন্দির সংখ্যা পরে জানানো হবে,' যোগ করেন তিনি।

ভাড়াটে সেনাদের এই দল ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জানিয়েছে, আজ বুধবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতের মধ্যে ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার কথাও জানিয়েছে ওয়াগনার।

বাখমুত থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সোলেদার। এই শহরের দখল নিতে পারলে তা রাশিয়ার জন্য সামরিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা আনবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপ 'তীব্র সংঘর্ষের' মাধ্যমে সোলেদারের লবণ খনির দখল নিয়েছে। প্রিগোঝিন তার ভাড়াটে যোদ্ধাদের সঙ্গে লবণের খনির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি প্রকাশ করেছেন।

ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা দ্য স্টাডি অব ওয়ার রুশ দাবির বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।

টুইটার বার্তায় সংস্থাটি জানায়, 'রুশ বাহিনী এখনো সোলেদারের পুরো অংশের দখল নিতে পারেনি। শহরটির পতন হয়েছে। খুব শিগগির বাখমুতকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হবে—রুশদের এসব দাবি মিথ্যা।'

সংস্থাটি আরও জানায়, প্রিগোঝিন স্বীকার করেছেন, নগরকেন্দ্রে এখনো যুদ্ধ চলছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সান্ধ্যকালীন নিয়মিত ভিডিও বার্তায় এ বিষয়ে কিছু না জানালেও গতকাল রাতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টুইট বার্তায় বলে, 'বড় আকারে ক্ষতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া এখনো উন্মাদের মতো সোলেদারের দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'

এর আগে ইউক্রেন জানিয়েছিল, তাদের বাহিনী সোলেদারের কয়েকটি জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলা প্রতিহত করে যাচ্ছে।

সোলেদারের দখল নিতে পারলে এটি হবে আগস্টের পর 'বিশেষ সামরিক অভিযানে' রাশিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। ২০২২ সালের মাঝামাঝি দেশটি ইউক্রেনের উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।

মস্কো জানিয়েছে, বাখমুত দখল করলে তা দনেৎস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago