রাশিয়ার ৪২ শহরে ভাগনারের নিয়োগ কেন্দ্র
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেছেন, বাখমুতের যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাশিয়ার ৪২টি শহরে নিয়োগ কেন্দ্র খুলেছে তার প্রতিষ্ঠানটি।
আজ শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার এক অডিও বার্তায় প্রিগোঝিন বলেন, নতুন সেনারা এগিয়ে আসছেন। রুশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে গোলাবারুদ সরবরাহের উন্নতি হয়েছে। তবে, তা এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু, সেনাদের কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি প্রিগোঝিন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরোধ সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাব। আমরা বাধার মুখ পড়লেও সবাই মিলে কাটিয়ে উঠব।
বেসরকারি বাহিনী ভাগনার বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়ার প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পৃথক এক পোস্টে প্রিগোজিন বলেন, ইউক্রেন বাখমুতের কাছে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সহযোগী মিখাইলো পোদোলিয়াক শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেন বাখমুতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এ যুদ্ধে রাশিয়ার সেরা কয়েকটি ইউনিট জড়িত এবং মস্কোর পরিকল্পিত পাল্টা আক্রমণের আগে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ইতালির লা স্ট্যাম্পা পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পোদোলিয়াক বলেন, রাশিয়া কৌশল পরিবর্তন করেছে এখানে তাদের প্রশিক্ষিত সামরিক কর্মীদের বড় অংশ আছে। এই অঞ্চলে পেশাদার সেনাবাহিনীর অবশিষ্টাংশ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো এক হয়েছে। সুতরাং, আমাদের দুটি উদ্দেশ্য আছে- তাদের কর্মীদের যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলা এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে তাদের মোকাবিলা করা, তাদের আক্রমণকে ব্যাহত করা এবং পাল্টা আক্রমণের জন্য আমাদের সম্পদকে অন্য কোথাও কেন্দ্রীভূত করা।
ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার শুক্রবার বলেছেন, রাশিয়া যখন আক্রমণ জোরদার করেছে, তখন আমাদের সেনারা তাদের পরিকল্পনা ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
প্রিগোঝিন বাখমুতে মারাত্মক ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন এবং একপর্যায়ে তিনি নিহত ভাগনার সেনাদের একটি ছবি পোস্ট করেন। তিনি তার বাহিনীর গোলাবারুদের ঘাটতি নিয়ে রাশিয়ার সামরিক প্রধানদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধও শুরু করেছেন।
জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র অনুমান করেছিল ইউক্রেনে ভাগনারের প্রায় ৫০ হাজার সদস্য আছে। তাদের মধ্যে ৪০ হাজার রুশ কারাগার থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।
Comments