‘হৃদয়কে আমরা ওর মতো ছেড়ে দিয়েছি’

Towhid Hridoy
তৌহিদ হৃদয় যেন দুর্বার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবার বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে চমকের নাম বোধহয় তৌহিদ হৃদয়। কিছুটা রয়েসয়ে খেলে থিতু হওয়া ঘরানার ব্যাটার বলে পরিচিতি ছিল এই তরুণ। গত বিপিএলেও মেটাতে পারেননি দলের চাহিদা। সেই হৃদয়কেই মিলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারায়। ক্রিজেই গিয়েই উত্তাল হয়ে উঠছে তার ব্যাট। ভয়ডরহীন অ্যাপ্রোচে টানা তিন ফিফটিতে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা জানালেন, অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তার দলের তরুণদের, যার ফলও মিলছে।

বিপিএলে প্রথম চার ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে মাশরাফির স্টাইকার্স। তার দলের এসব সাফল্য বড় ভূমিকা স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটারদের। তিন ম্যাচে ব্যাটিং পেয়ে তিনটিতেই ফিফটি করে ম্যাচ সেরা হন হৃদয়।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে আঙুলে চোট পেয়ে দুই সপ্তাহের জন্য ছিটকে যাওয়ার আগে খেলেন ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। এখন পর্যন্ত  ৬৫ গড় ও ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৯৫ রান করে ফেলেছেন তিনি।

অধিনায়ক মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে এসে জানান, নির্ভার খেলার ছাড়পত্র দেওয়াতে সেরাটা বের করতে আনতে পারছেন হৃদয়,  'হৃদয়কে আমরা আমরা ওর মতো ছেড়ে দিয়েছি। আগের ম্যাচে দেখুন, উইকেটে গিয়ে প্রথম বলে ছক্কা মেরেছে। আমি ওকে পুরো ব্যাক আপ করেছি। ওই শটে যদি আউট হতো, আমরা ওকে কিছুই বলতাম না। এভাবে পাশে থাকা প্রয়োজন। আমাদের দল থেকে, বিশেষ করে আমি যতক্ষণ আছি, ওই সুযোগটা দিয়েছি যে, ও যেন যেভাবে চায়, সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। একটা ক্রিকেটার প্রতিদিন ভালো খেলবে না।'

'আমি নিশ্চিত, হৃদয় যেভাবে খেলছে, নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে নিজেও বুঝতে পারছে। অন্যদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওর নিজে বোঝা যে একটা করতে পারে। এই সুযোগগুলো দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।'

হৃদয়ের মতো না হলেও আলো কাড়ছেন জাকির হাসান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৯৫ রান তাড়ায় ১৮ বলে ৪৩ রানের মোড় ঘোরানো ইনিংস খেলেন তিনি। জাকিরকেও স্বাধীনতা দেওয়ার কথা জানান মাশরাফি,  'জাকিরকে আগের দিন আমরা বলেছি জুটি গড়তে। কিন্তু ও উইকেটে গিয়ে একটি চার মারল, ছয় মারল। ওর কাছে মনে হয়েছে, উইকেট ভালো, চান্স নিতে পারবে, আমরাও ব্যাক আপ করছি। উইকেট খারাপ হলে যদি ১০ বলে ১০ করে, তাহলেও সমস্যা নেই। আমার কথা হচ্ছে, এই জায়গাটা তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'

খুব আগ্রাসী না হলেও দলের চাহিদা মেনে রান পাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেট স্টাইকার্স অধিনায়ক মনে করেন এসব তরুণদের স্বাধীনতা দিয়েই সেরাটা বের করে আনা যায়,   'আমাদের তরুণ ক্রিকেটার যারা আছে, ওদেরকে চাপে না ফেলে এই স্বাধীনতা দেওয়া আছে যে, ওরা যেভাবে চায় নিজেদের মেলে ধরতে পারে। এটাও সত্যি যে ওরা বেশ কিছুদিন ধরে খেলছে। 'এ' দলে খেলেছে, এইচপিতে খেলেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছে ওরা সবাই। এই ধারণা তাই ওদের আছে যে কীভাবে খেলতে হবে। আর এই উইকেটে ওরা খেলেছেও অনেক।'

'ওদেরকে যেটা বলা হয়েছে যে, উইকেট বুঝে টি-টোয়েন্টি যেভাবে খেলা উচিত, সেভাবে যেন খেলে। ওই স্বাধীনতা ওদের শুরু থেকেই দিয়েছি। আমাদের থেকে ওদের ওপর কোনো চাপ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

1h ago