ইনিংস শুরুর আগে এবার মাঠে ঢুকে তর্কে জড়ালেন সাকিব

Shakib Al Hasan

ইনিংসে তখন এক বলও হয়নি। হঠাৎ করে দেখা গেল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে নিজেদের দুই ব্যাটারকে কি যেন ইশারা দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তাতে খেলা শুরু হতে পারছিল না। কিছুক্ষণ পর অভাবনীয় ভাবে মাঠে ঢুকে পড়েন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক, আম্পায়ারদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তর্কে। পরে জানা যায়, কোন ব্যাটার স্ট্রাইক নিবেন তা নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা।

মঙ্গলবার বিপিএলে বরিশালের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৫৮ রানের পুঁজি দাড় করায় রংপুর রাইডার্স। রান তাড়ায় বরিশালের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামেন এনামুল হক বিজয় ও চতুরঙ্গ ডি সিলভা। শুরুতে দেখা যায় বল করতে প্রস্তুত হচ্ছেন শেখ মেহেদী হাসান আর স্ট্রাইক নেওয়ার জন্য হাঁটছেন চতুরঙ্গ। শেখ মেহেদীকে দেখে মাঠের বাইরে থেকে সাকিব কিছু একটা বলেন। চতুরঙ্গের বদলে স্ট্রাইক নিতে যান এনামুল হক বিজয়। বিজয়কে স্ট্রাইক নিতে দেখে আবার বোলার চেঞ্জ করে রাকিবুল হাসানকে বল দেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এই সময় সবকিছু থেমে গিয়ে তৈরি হয় তর্ক। 

Shakib Al Hasan
চিৎকার করতে করতে মাঠে ঢুকছেন সাকিব। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন জানান আম্পায়ার তাতে রাজী না হওয়ায় মাঠে ঢুকে তর্কে জড়ান সাকিব,  'নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।'

দুই আম্পায়ার গাজী সোহেল ও লঙ্কান রাবিন্দ্র উইমালসিরির সঙ্গে উত্তেজিত শরীরী ভাষায় মিনিট তিনেক কথা চালান সাকিব। এসময় সাকিবের পায়ে কেডস পরাও ছিল না। পরে শেখ মেহেদীর বদলে বল করতে আসেন রাকিবুলই, স্ট্রাইকে ছিলেন চতুরঙ্গ। মজার কথা হলো তৃতীয় বলেই রাকিবুলের বলে আউট হয়ে যান চতুরঙ্গ।

সাধারণত খেলা শুরুর পর দুই ব্যাটসম্যানের বাইরে ব্যাটিং দলের কেউ অনুমতি ছাড়া মাঠের ঢুকে পড়ার নিয়ম নেই। এই ব্যাপারে তাৎক্ষিণকভাবে ম্যাচ অফিসিয়ালদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

7h ago