৩৪ শয্যার ওয়ার্ডে ভর্তি ১৪০ শিশু

পাবনা জেনারেল হাসপাতাল, শিশু রোগী,
ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকে হাসপাতালের মেঝেতেই রোগী নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: স্টার

এ বছর শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা।

২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ৩৪ বেডের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৪০ জনের বেশি শিশু ভর্তি থাকছে। পাশাপাশি ১৬ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩০ জনের বেশি রোগী ভর্তি। শীতের প্রকোপ বাড়ায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ সোমবার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ৩৪ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ১৪৩ রোগী ভর্তি আছে। এছাড়া ১৬ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩২টি শিশু ভর্তি রয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। বেডে জায়গা না পেয়ে অনেকে মেঝেতেই আশ্রয় নিয়েছেন। ছবি: স্টার

গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৬ জন মারা গেছে বলেও জানান তিনি।

সরেজমিনে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, রোগী বাড়লেও হাসপাতালে বাড়েনি শয্যা সংখ্যা। ফলে এক বেডে একাধিক শিশু রোগী রেখেও স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। শীতের মধ্যেই মেঝেতে স্থান করে নিতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।

দেখা যায়, পাবনার চাটমোহর উপজেলা থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুকে নিয়ে আসা একটি পরিবার হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অবশেষে শিশু সন্তানকে বুকে নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই জায়গা নিয়েছেন।

বেডে জায়গা না পেয়ে শিশু সন্তান নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে জায়গা নিয়েছেন এই দম্পতি। ছবি: স্টার

পাবনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (শিশু) ডা. নিতিশ কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, স্বল্প রোগীর সুবিধা নিয়েই বিপুল পরিমান রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত রোগীর জন্য শয্যার ব্যবস্থা করতে না পারায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এ ব্যাপারে ইচ্ছা থাকলেও এ মুহূর্তে কোনো উপায় নেই। তবে এতে কারো চিকিৎসার সংকট হবে না।

শীতের এ সময় ভাইরাসজনিত রোগ ও ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয় ফলে চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়, এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

10h ago