পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ৪ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুল শিক্ষকের

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ৪ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুল শিক্ষকের
পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ৪ দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কুল শিক্ষক নুরুল আমিনের। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি গ্রামের দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে। এ ঘটনার ৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি ওই শিক্ষকের। 

গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ১২-১৫ জনের একটি দল এসে পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।  

এ ঘটনার পর ৭ জানুয়ারি শনিবার রাতে ওই শিক্ষকের ছেলে আব্দুর রউফ আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ এখনো অপহৃত স্কুলশিক্ষকের সন্ধান দিকে পারেনি। 

এখন পযর্ন্ত অপহরণের কারণও জানা যায়নি। তাকে উদ্ধার কিংবা খোঁজ না মেলায় আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের। 

অপহৃত স্কুলশিক্ষক নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রউফ আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাবাকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। কী কারণে কারা অপহরণ করেছেন সেটা এখনো জানতে পারিনি।'

'এখন পযর্ন্ত আমরা জানতে পারিনি বাবা কোথায় এবং কেমন আছেন। আমাদের পরিবারের কারও কাছে ফোন করে কেউ কোনো চাঁদাও দাবি করেনি', বলেন তিনি।

আদিতমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এন এম শরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, স্কুলশিক্ষক নুরুল আমিনকে কারা এবং কেন অপহরণ করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও কিছু জানাতে পারেনি। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে অপহৃত স্কুলশিক্ষকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। 

আদিতমারী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ পরিচয়ে অন্য কেউ স্কুল শিক্ষক নুরুল আমিনকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে। আমরা শিক্ষক নুরুল আমিনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।'

এখন পযর্ন্ত তাকে অপহরণের কারণ জানা যায়নি বলেও জানান ওসি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

5h ago