সিসিটিভির কারণে ন্যায়বিচার পেলাম: আ. লীগ নেতার মারধরের শিকার শিক্ষক

মারধরের শিকার স্কুল শিক্ষক নুরুন্নবী হক। ছবি: সংগৃহীত

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ আমাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিয়েছে। ফুটেজ না পেলে হয়তো মারধরের বিষয়টি প্রমাণ করা যেতো না।

কথাগুলো বলছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনের হামলার শিকার স্কুল শিক্ষক নুরুন্নবী হক (৪১)। তিনি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

নুরুন্নবী হক বলেন, 'ফুটেজের কারণে আমাকে মারধরের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আমার ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ আমার মামলাটি রেকর্ড করেছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে।'

ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদ ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। তার চোখের সামনেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।

প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন (৪০) ও তার লোকজন। শিক্ষককে একটি কক্ষে আটকিয়ে মারধর করা হয়। শিক্ষককে মারধরের ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আহত শিক্ষক নুরুন্নবী রৌমারী থানায় রোকনুজ্জামান রোকন ও তার সহযোগী আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ২০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষককে মারধরের ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জরুরি বৈঠক করে রোকনুজ্জামান রোকনকে দল থেকে অব্যাহতি দেন।

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে শিক্ষককে মারধরের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। রোকনুজ্জামান রোকনকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্যই দ্রুত রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'

রৌমারী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রুপ কুমার সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার পর থেকে রোকনুজ্জামান রোকন ও তার সহযোগী আসাদুল ইসলাম পলাতক আছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

How Chattogram built its economic legacy

Picture a crowded harbour where the salty seabreeze carries whispers of far-off lands, where merchants of all creed and caste haggle over silks and spices, and where towering ships of all varieties – Chinese junks, Arab dhows, and Portuguese carracks – sway gently in the waters of the Bay of Bengal.

13h ago