গাইবান্ধা-৫: মাঝ নদীতে নৌকা বিকল হওয়ায় রাত ১২টায়ও আসেনি ফল

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে সাঘাটায় একটি ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের সারি। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

গাইবান্ধা-৫ আসনের (ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা) উপনির্বাচনে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ হলেও রাত ১২টায়ও ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

ফুলছড়ি উপজেলার দুর্গম চরের কিছু কেন্দ্রের ফলাফল আসতে দেরি হওয়ার কারণে ফলাফল ঘোষণা করা যায়নি বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সামগ্রী ও ফলাফলসহ একটি নৌকা বিকল হয়ে ব্রহ্মপুত্রের মাঝখানে আটকে আছে। আরেকটি নৌকা পাঠানো হয়েছে সেগুলো আনার জন্য। এই নৌকা ফুলছড়ি উপজেলায় পৌঁছলে সামগ্রিক ফলাফল দেওয়া সম্ভব হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ৮টি কেন্দ্র দুর্গম চর এবং জামালপুর জেলার সীমানা সংলগ্ন। এখানে কিছু এলাকায় পায়ে হেঁটে, কিছু এলাকা ট্রাক্টরে এবং কিছু এলাকা নৌকায় আসতে হয়। মাঝ নদীতে একটি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে নৌকা বিকল হলে আর একটি নৌকা পাঠানো হয়েছে। আর মাত্র একটি কেন্দ্রের ফলাফল বাকি আছে। সেটি আসলেই আমরা বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে পারব। আশা করি আর ১  ঘণ্টার মধ্যে সেটা আমাদের হাতে এসে যাবে।'

২টি উপজেলার ১৪৫ কেন্দ্রে আজ ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২ উপজেলায় প্রাপ্ত ফলাফলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট গণনায় এখন পর্যন্ত বেশ বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন।

এ পর্যন্ত ১৪৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪০ টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে  আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান পেয়েছেন ৭৬ হাজার ১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৫৯ ভোট।

অন্য ৩ প্রার্থীর মধ্যে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ১ হাজার ৭২৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ২ হাজার ৮৪১ ভোট এবং নাহিদুজ্জামান নিশাদ ১ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

14m ago