ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ নিতে চায় বাংলাদেশ
ইতোমধ্যে ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করলেও দিল্লির কাছ থেকে আরও বিদ্যুৎ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার রাতে দিল্লিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পাশাপাশি এ বছর ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উত্তরবঙ্গে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ভারতের পক্ষে ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী রাজ কুমার সিং নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এ সময়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রবৃদ্ধি আলোচনা করে বলেন, 'বিদ্যুতের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারলে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের দিকে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ টেকসই হবে। ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করলেও আরও বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। নেপাল বা ভূটান থেকে জল বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের দৃশ্যমান সহযোগিতা কাম্য।'
ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি রপ্তানি করতে চায় –এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তুলনামূলক মূল্য, সঞ্চালন ব্যবস্থা, পাওয়ার ট্রেড, বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আলোকপাত করেন।
ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী রাজ কুমার সিং বলেন, 'ভারত থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ দেওয়া যেতে পারে।'
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি। আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী জয়েন্ট স্টেরিয়ারিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।'
আলোচনায় বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
Comments