শাখাহাতীর দ্বীপ চরে রঙ ছড়ালো সূর্য উৎসব

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত দুর্গম শাখাহাতির দ্বীপ চরের বাসিন্দারা এর আগে সূর্য উৎসবের নাম কখনো শোনেননি। এবার এখানেই বছরের প্রথম সূর্যোদয় পর্যবেক্ষণের জন্য এ উৎসবের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এতে আপ্লুত এই চরের বাসিন্দারা মুখোমুখি হলেন এক আনকোরা অভিজ্ঞতার।
সূর্য উৎসবে টেলিস্কোপে রাতের আকাশ দেখছে এক শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত দুর্গম শাখাহাতির দ্বীপ চরের বাসিন্দারা এর আগে সূর্য উৎসবের নাম কখনো শোনেননি। এবার এখানেই বছরের প্রথম সূর্যোদয় পর্যবেক্ষণের জন্য এ উৎসবের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এতে আপ্লুত এই চরের বাসিন্দারা মুখোমুখি হলেন এক আনকোরা অভিজ্ঞতার।

শাখাহাতীতে এটি ছিল সূর্য উৎসবের ২৩তম আসর। উৎসব উপলক্ষে শনিবার দুপুর থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত শেত শত মানুষের পদচারনায় সরব হয়ে ওঠে দ্বীপ চরটি।

সূর্য উৎসব উপলক্ষে নানা আয়োজনের ভেতর ছিল ছোটদের বিজ্ঞান উৎসব, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা, অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প, টেলিস্কোপে রাতের আকাশ দেখা, তাঁবুবাস, ব্রহ্মপুত্র চর থেকে টেলিস্কোপে নতুন বছরের প্রথম সূর্য দেখা এবং সাংস্কৃতিক আড্ডা ও ক্যাম্পফায়ার।

উৎসবে ছিল ফানুশ ওড়ানোর আয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

উৎসবে চিলমারী উপজেলার ১৫০ শিক্ষার্থী রকেটের মডেল তৈরির কর্মশালা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞানবিষয়ক ছবি আঁকা, বিজ্ঞান আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং টেলিস্কোপে রাতের আকাশ দেখার কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়।

কনকনে শীত উপেক্ষা করে এই উৎসবে অংশ নিতে এসেছিলেন চরের বাসিন্দা কৃষক রসুল মণ্ডল (৭০)। তার ভাষ্য, আগে এমন কোনো উৎসবের নাম কখনো শোনেননি তিনি। সবকিছু দেখে তার খুব ভালো লাগেছে।

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অংশগ্রহণকারী সদস্যদের টিম লিডার মশহুরুল আমিন উৎসবের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা শাখাহাতীতে সূর্য উৎসব আয়োজন করতে পেরে খুবই খুশি। এর মধ্যে দিয়ে আমরা আমরা ব্রহ্মপুত্র নদ ও কুড়িগ্রাম জেলাকে সারাবিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।'

ছোটদের বিজ্ঞান উৎসবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

উৎসবে এসে টেলিস্কোপে রাতের আকাশ দেখে উচ্ছ্বসিত সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শস্য সরকার সংঘ বলে, 'আমার কাছে বিষয়টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি এখান থেকে বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছি।'

শাখাহাতীতে এবারের উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চিলমারী উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমানের ভাষ্য, 'ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল এই আয়োজনের মাধ্যমে চিলমারীকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে।'

বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ঢাকায় ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ২০০১ সাল থেকে অ্যাসোসিয়েশন নিয়মিতভাবে সূর্য উৎসবের আয়োজন করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এই উৎসব আয়োজন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

8h ago