ফখরুল-মোশাররফ জোটের ৩৩ দলের নাম বলতে পারলে ক্ষমা চাইব: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ও খন্দকার মোশাররফ যদি জোটের ৩৩ দলের নাম মুখস্থ বলতে পারেন তাহলে আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইব।
আজ বৃহস্পতিবার গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সাপ যেমন কিছুদিন পর পর চামড়া বদলায়, বিএনপির জোটও কিছু দিন পর পর চামড়া বদলায়। কোনো সময় ২০ দল হয়, ১২ দল হয়, এখন বলছে ৩৩ দল। ৩৩ দলের মধ্যে ৩০টাকে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে। কয়েকটি হাতে গোনা দল ছাড়া বাকিগুলো আসলে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল। আপনারা জানেন বিএনপি আবার মাঠে নামার চেষ্টা করেছে। একটু একটু মাঠে নেমেছে, আর দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই হচ্ছে বিএনপির জোট। আসলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বিএনপি বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে ও তাদের ভরাডুবি হবে তাই তারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।'
'১০ তারিখ তারা নাকি ঢাকা দখল করবে। পরে বলেছে ৩০ তারিখ নাকি তারা ঢাকার দখল নেবে। আজ পুরো ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের দখলে। তারা ঘোষণা দিল, ১০ তারিখে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হলো- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য, তারা করবে না। তারপরে বলা হলো পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠে করার জন্য তাও করবে না। একটা অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে, যেখানে মির্জা ফখরুল বলছে- আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করি। অন্য আরেকজন বলছে মানুষ কই? আমরা যখন বললাম, আপনার কোথায় মিটিং করবেন? তারা বেছে নিলো গরুর হাট। মানিকে মানিক চিনে, আর গাধা চেনে গাধা,' বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'তারা বুঝতে পেরেছে জনগণে তাদের সাথে নেই। তাদের কাজ হচ্ছে রাত-বিরাতে বিভিন্ন দূতাবাসের দরজায় ঘুরে বেড়ানো আর তাদের পা টিপে দেওয়া। বিএনপি দেশে নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তারা ওঁত পেতে বসে আছে। তাই নেতাকর্মীদের আহবান করব, তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার।'
তিনি বলেন, 'আমাদের কর্মসূচি কোনো পাল্টা কর্মসূচি নয়। দেশে যেন অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে তাই আমরা এ অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছি। আমাদের এ অবস্থান আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।'
Comments