রসিক নির্বাচনে জামানত হারালেন আ. লীগের প্রার্থীসহ ৭ জন

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। ছবি: স্টার

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন অন্যরা। একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলেও বাকি ৭ প্রার্থী তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ জামানত হারিয়েছেন ৭ জন।

গতকাল নির্বাচন শেষে ঘোষিত ফল অনুযায়ী দেখা যায়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট। এ ছাড়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ৫ হাজার ৮০৯ ভোট, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল ২ হাজার ৮৬৪ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শফিয়ার রহমান ৫ হাজার ১৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ২ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়েছেন।

মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬ এবং বাতিল ভোট ১ হাজার ৩৬টি। মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২টি, যা মোট ভোটের ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর ৪৪ বিধির ৩ উপবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ বা ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর কোনো প্রার্থী মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হলে তার জামানত সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও আমিরুজ্জামান পিয়াল ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবার রংপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

5h ago