বড়শিতে ধরা পড়ল পানকৌড়ি, পরে অবমুক্ত
মাছ ধরার জন্য বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সাঙ্গু নদীতে বড়শি পেতেছিলেন এক ব্যক্তি। মাছ খেতে এসে সেই বড়শিতে আটকা পড়ে একটি পানকৌড়ি।
খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২টার দিকে বন বিভাগের লোকজন গিয়ে পাখিটিকে উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাখিটিকে আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন বিভাগের রুমা রেঞ্জের রেঞ্জার নাজমুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয়রা মাছ ধরার জন্য নিয়মিত নদীতে ছোট মাছের টোপ দিয়ে বড়শি পেতে রাখেন। এরকম একটি বড়শিতে আটক পড়েছিল পানকৌড়িটি। পরে খবর পেয়ে আমরা গিয়ে সেটি উদ্ধার করি। নিজেকে রক্ষা করতে বড়শির সঙ্গে টানাটানি করতে গিয়ে পানকৌড়িটির ঠোঁটে জখম হয়ে গিয়েছিল।'
'রেঞ্জ অফিসে এনে সেটিকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থা করেছি। মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পর পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে পাখিটি মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করে দিই', যোগ করেন তিনি।
দেশি পানকৌড়ি ফ্যালাক্রোকোরাসিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত এক প্রজাতির পানকৌড়ি। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএন এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, 'পানকৌড়ি এক সময় বাংলাদেশে প্রচুর ছিল। গ্রামগঞ্জে ছোট-বড় বিল, ঝিল, জলাশয়, ধান খেত, পুকুর, দীঘি, হাওর, বাঁওড়, ডোবা-নালা ও মজা নদীসহ সব জায়গাতেই ছিল ওদের অবাধ বিচরণ। পানি আর মাছ যেখানে, ওরা ছিল সেখানেই। বর্তমানে কেবল বিল-বাঁওড়, হাওর, নদী, কাপ্তাই লেক এবং মোহনা বা খাড়ি অঞ্চলে পানকৌড়ি বেশি দেখা যায়। '
Comments