শিল্পীরাই আমার সিনেমার বড় শক্তি: অরুণা বিশ্বাস
যাত্রা সম্রাট অমলেন্দু বিশ্বাস ও জোছনা বিশ্বাসের যোগ্য কন্যা অরুণা বিশ্বাস। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। তবে, প্রথমবারের মতো অসম্ভব নামের একটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। সিনেমাটি ইতোমধ্যে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলেছেন অরুণা বিশ্বাস।
আপনার পরিচালিত প্রথম সিনেমা সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে, আপনার অনুভূতি জানতে চাই?
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একজন মায়ের যেমন অনুভূতি হয়, এমন অনুভূতি আমারও হচ্ছে। 'অসম্ভব' আমার প্রথম পরিচালিত সিনেমা। সেন্সর হওয়ার পর খুব প্রশংসা পেয়েছি। এই ভালোলাগা ও আনন্দের স্মৃতিটুকু সারা জীবন মনে থাকবে।
কবে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি?
বড় একটি দিন দেখে, ভালো সময় দেখে মুক্তি দিতে চাই। আমি জানি সবার ভালোবাসা পাব। সব শিল্পী ও সাংবাদিকরা আমাকে যেভাবে ভালোবাসায় সিক্ত করছেন, যেভাবে পাশে থাকছেন তা ভোলার নয়। আমি তাদের কথা চিরদিন মনে রাখব। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সুন্দর একটি দিনে সিনেমাটি মুক্তি দেব।
দর্শকদের জন্য কী চমক থাকছে এই সিনেমায়?
চমক বলব না। এটুকু বলব অসম্ভব দেশপ্রেমের সিনেমা। যাত্রা শিল্পের একটি বড় প্রভাব আছে এই সিনেমায়। যাত্রা শিল্প উঠে এসেছে গভীরভাবে। মুক্তিযুদ্ধের কথা আছে। সব মিলিয়ে আমাদের যাপিত জীবনের গল্প আছে।
শিল্পীরা কতটুকু সহযোগিতা করেছেন?
শিল্পীরা ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। ইউনিটের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আবুল হায়াত সাহেব একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা। আমার মা একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পীরাই আমার সিনেমার বড় শক্তি। আমি নিজেও অভিনয় করেছি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ের চরিত্রে।
একজন পরিচালক হিসেবে নিজেকে দশে কত দেবেন?
আমি ওভাবে বিচার করতে চাই না। আমি বলতে চাই, একটি সিনেমা নির্মাণ করেছি। দর্শকদের জন্য সিনেমা বানিয়েছি। সিনেমা বানানোর আগে অনেকগুলো নাটক বানিয়েছি। প্রথম সিনেমা পরিচালনা শুরুর আগে নায়ক রাজ রাজ্জাক আঙ্কলের বাসায় গিয়েছিলাম। ওনার আশীর্বাদ নিয়েছিলাম। আমার বাবা নেই। তার আশীর্বাদ নিয়েছিলাম। তারপর একটি সিনেমা পরিচালনা করেছি। আমার ভাই মিঠু না থাকলে কাজটি সম্পূর্ণ করা কঠিন হত। দর্শকরা গ্রহণ করলেই আমি খুশি।
Comments