লাইভ চলাকালে সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নিলো পুলিশ

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ফুটপাত থেকে লাইভ সম্প্রচারের সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে সরাসরি সম্প্রচারের সময় সাংবাদিকের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন এক পুলিশ সদস্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ফুটপাত থেকে লাইভ সম্প্রচারের সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া ওই পুলিশ সদস্য দাবি করেন, সংসদ ভবন 'ভিআইপি এলাকা'। সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে পূর্বানুমতি লাগবে। পরে নাগরিক টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার সাঈদ আরমানকে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।

সাঈদ আরমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী।

আরমান জানান, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের খবর কভার করতে তিনি তার ক্রুদের নিয়ে সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় যান। অন্য টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকরাও সেখানে ছিলেন। তবে তারা বেলা ১টার দিকে চলে আসেন। ততক্ষণে পুলিশের আরেকটি দল সেখানে ডিউটিতে আসেন। দুপুর ২টার সংবাদে তিনি সরাসরি সম্প্রচারে আসেন।

'আমি যখন সরাসরি সম্প্রচার শুরু করি, তখন শাহীন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি এখান থেকে লাইভ করছি কেন। উত্তরে আমি বলি, সকাল থেকে লাইভ করছি। তিনি আমাকে বলেছে যে এখান থেকে লাইভ করা নিষেধ।'

এরপর তাকে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তিন জন উপ পরিদর্শক (এসআই) ছিলেন। ওই কনস্টেবল তাদের বলেন, সাংবাদিক সেখানে লাইভ করছেন। ওই তিন এসআই তখন কনস্টেবল শাহীনের পক্ষ নিয়ে বলেন যে আমি এখানে থাকতে পারব না। তারা আমাকে স্পিকারের অনুমতি নিতে বলেন।

আমি তাদের বলি, 'এটা কোনো সংরক্ষিত এলাকা নয়। এখানে সকাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলছে। আপনি কাউকে বাধা দেননি। তাহলে আমাকে বাধা দিচ্ছেন কেন?'

যোগাযোগ করা হলে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) ফারুক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সেখানে কোনো নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা নেই এবং পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই তা করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এক বিবৃতিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে পুলিশের হয়রানির নিন্দা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়ে, সরাসরি সম্প্রচারের সময় পুলিশ কনস্টেবল যেভাবে একজন সাংবাদিকের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়েছে তা ঘৃণ্য। এটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী।'

দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English

Six state banks asked to cancel contractual appointments of MDs

The Financial Institutions Division (FID) of the finance ministry has recommended that the boards of directors of six state-run banks cancel the contractual appointment of their managing directors and CEOs..The six state-run banks are Sonali Bank, Janata Bank, Agrani Bank, Rupali Bank, BAS

51m ago