খাদ্যদ্রব্য মজুতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে কেউ যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। আর এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। কাল্পনিক নামে খাদ্যদ্রব্য বিপণনও অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এসব বিধান রেখে একটি নতুন আইন আজ বুধবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

আজ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার 'খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল-২০২৩' পাসের জন্য জাতীয় সংসদে তোলেন। বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, 'বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হলেও মূলত এই জাতের কোনো ধান বা চালের অস্তিত্ব নেই। এই আইনের মাধ্যমে চালের পোলিশিং বন্ধ করতে পারলে ৪ লাখ টন চালের অপচয় রোধ করা যাবে।'

দেশ কীভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হল প্রশ্ন রেখে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, 'কাঁচা মরিচের কেজি ১ হাজার টাকা হওয়ার পরে ভারত থেকে তড়িঘড়ি করে আমদানি করা হয়েছে। এখান থেকে বোঝা যায় দেশে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বন্ধ হোক ঘুষের দৌরাত্ম্য। বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন মন্ত্রী। কারণ তিনি নিজেই একজন বড় মাপের গুদাম ব্যবসায়ী।'

জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, 'অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন আর্থিক বা অন্য কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশে ছাড়া মজুত করেছিলেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ডে দন্ডিত হবেন। অপরাধ না করলেও তাকে সাজা ভোগ করতে হবে, এমন আইন কোথাও নেই।'

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, 'এটা একটা ভয়াবহ আইন। এই আইনের আওতায় যে কাউকে যে কোন সময়ে ধরা যাবে। ঘুষের একটা মহোৎসব শুরু হবে দেশে। এই আইনের ফলে দেশের কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। কৃষকরা ভাল দাম পাওয়ার আশায় অনেক সময় মজুত করেন। তারাও এই আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'

এসব সমালোচনার জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তার চালের গুদাম আছে, তাহলে তিনি তা ওই ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দেবেন।

তিনি বলেন, 'প্রকৃত মজুতদারদের চিহ্নিত করা সহজ বিষয়। কৃষকদের ওপরে এই আইন প্রয়োগের কোন আশঙ্কা নেই। এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালায় এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Trump says Indonesia to face 19% tariff under trade deal

This is significantly below the 32 percent level the president earlier threatened

1h ago