ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: শেখ তাজুল ইসলাম তাজ/স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করে যত দ্রুত সম্ভব তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।

গত ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।

অভিযোগপত্রে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগও তোলা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে চলচ্চিত্র আন্দোলনের পাঠাগার ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক ইরফানুল ইসলাম ইফতু বলেন, 'এই নিপীড়ন আমরা মানতে পারি না। এই বিশ্ববিদ্যালয় কখনো নিপীড়কদের আস্তানা হবে না।'

ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, 'অভিযোগ শোনার পর তা সিন্ডিকেটে পাঠানো হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেটে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।'

চলচ্চিত্র আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি দীর্ঘদিন কেটে গেলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ভিক্টিমের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত এই বিচারকাজ শুরু না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভিক্টিমও নিরাপদ নয়।'

যদি বিচারকাজে দেরি হয়, তাহলে ১৯৯৮ সালের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন তিনি।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'যতদিন পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন না আসে, ততদিন পর্যন্ত যেন অভিযুক্ত তার স্নাতকের সনদ তুলতে না পারে।'

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের সভাপতি অধ্যাপক জেবউননেছা দ্য ডেইলি স্টারকে, 'আমরা ২৭ নভেম্বরও সভা করেছি এ বিষয়ে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আমরা রিপোর্ট জমা দেবো।'

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

10h ago