ঢাবিতে রুবিনার মৃত্যুর বর্ণনা যেভাবে আছে মামলার এজাহারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক এক শিক্ষকের প্রাইভেটকারের নিচে পিস্ট হয়ে নিহত রুবিনা আক্তারের (৪৫) বড় ভাই ওই ঘটনায় যে মামলা করেছেন, তার এজাহারে গাড়ির ধাক্কায় রুবিনার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে প্রায় এক কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর রাতে শাহবাগ থানায় ওই ঘটনায় ঢাবি থেকে চাকরিচ্যূত শিক্ষক আজহার জাফর শাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহত রুবিনা আক্তারের বড় ভাই জাকির হোসেন মিলন।
এজাহারে জাকির হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'আমার বোন রুবিনা আক্তার তার ননদের জামাই মো. নূরুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে হাজারীবাগের উদ্দেশ্যে তেজগাঁও থেকে গতকাল দুপুরে রওনা হয়। শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বিকাল ৩টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির বিপরীত পাশের রাস্তায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে আমার বোন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়।
'এ অবস্থায় আমার বোনকে রাস্তা থেকে ওঠার কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে তার উপর প্রাইভেটকার উঠিয়ে দিয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে চাকার নিচে পিস্ট করে গাড়িটি দ্রুত চালিয়ে নজরুলের সমাধিসৌধ থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত এক কিলোমিটার নিয়ে যায়।'
গাড়ির চালক পালানোর চেষ্টা করাতেই তার বোনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে এজাহারে আরও বলা হয়, 'প্রাইভেটকার চালক যখন আমার বোনকে প্রাইভেটকারের নিচে ফেলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তখন পেছন থেকে নুরুল আমিনসহ উপস্থিত আশপাশের লোকজন পেছনে ধাওয়া করে গাড়িটিকে চালকসহ থামিয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে এবং চালককে গণপিটুনি দেয়। এরপর আমার বোন রুবিনা আকতার খান রুবি ও ঘাতক চালককে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার বোনের ননদের জামাই নূরুল আমিন ঘটনার বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে আমাকে মোবাইলে বিস্তারিত জানায়, গাড়ির চালকের নাম এম ডি আযাহার জাফর শাহ বলে জানতে পারি।'
Comments