অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরেছে, বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

দেশে মূল্যস্ফীতির প্রবণতা বর্তমানে নিম্নগামী উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, 'আমরা বলছি না এটা সন্তোষজনক। এটা নিম্নগামী। সেটা সন্তোষজনক। আর মজুরি হারবৃদ্ধির প্রবণতা ঊর্ধ্বগামী। এইটাও ভালো। মাত্রা অতটা নয়, কম। কিন্তু একটা নিম্নগামী, আরেকটা ঊর্ধ্বগামী। এটা ভালো লক্ষণ।'

আজ মঙ্গলবার একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এমএ মান্নান বলেন, 'তা ছাড়া, আমাদের সন্তুষ্টি ভাবের আরেকটি ব্যাপার হলো আমাদের আবহমানকালের প্রধান ফসল আমন, এখন আর প্রধান নয়, তবুও কাছাকাছি প্রায়, সেই আমন মাঠে হলুদ হয়ে গেছে প্রায়। কাটা শুরু হয়ে গেছে এবং চমৎকার ফসল হবে বলে আমাদের ধারণা। এটা মুদ্রাস্ফীতির জন্য গ্রেট নিউজ। মুদ্রাস্ফীতি দাবানোর জন্য সরবরাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই সরবরাহের দিক থেকে প্রায় ২ মিলিয়ন টন খাদ্য আমাদের গুদামে আছে, কয়েক বিলিয়ন টন মাঠে আছে, এটা খুব ভালো খবর।'

'এ ছাড়া, আজকে আমাদের কৃষিমন্ত্রী বললেন, গত কয়েক বছরে সবজি উৎপাদন ৬ গুণ বেড়েছে। শুধু পরিমাণ নয়, বিভিন্ন ধরনের, যেগুলো আগে আমাদের পূর্ব-পুরুষরা চিন্তাও করেননি, যেমন: ব্রকলি, মাশরুম ইত্যাদি। এ ছাড়া, দেশজ ফলে এখন আমরা আম-কাঁঠালের বাইরে যাচ্ছি। সবচেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে হয়েছে ড্রাগন ফল। এটা একেবারে ভরে যাচ্ছে। এটা সার্বিকভাবে আমাদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টি, খাদ্য তালিকায় এটার উপস্থিতি, এটাও চূড়ান্তভাবে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতিতে আঘাত করে। এ ছাড়া, মুরগি, ডিম, দুধ, গরুর মাংস, ছাগলের মাংস ইত্যাদির পরিমাণ যেকোনো সময়ে তুলনায় বেড়েছে এবং বাজারে আসছে। সরবরাহ ব্যবস্থা খুবই চমৎকার এবং এখনো আছে। এগুলো ভালো লক্ষণ।'

মুদ্রাস্ফীতি বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশা করি, নভেম্বরেও মুদ্রাস্ফীতি কমবে। আগে ২ বার আমাদের ভবিষ্যদ্বাণী সফল হয়েছে। এবারও আশা করি হবে। ডিসেম্বরে গিয়ে একেবারে আরও ভালো নামবে। জানুয়ারিতেও ভালো নামবে। ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে একটা স্টলিংয়ে আসবে। মার্চে গিয়ে একটু দেখব। এর মধ্যে অন্যান্য আরও অনেক পরিবর্তন হবে।'

'এ ছাড়া, আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২ দিন আগে একটা বার্তা দিয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ ঘুরে এখন ইতিবাচক দিকে মোড় নিয়েছে। ইট ইস গ্রেট নিউজ। এ ছাড়া, মালপত্র বিদেশে থেকে যে আসা, ইমপোর্ট, আমরা বাছাই করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নানা ধরনের মেকানিজম ব্যবহার করেছিলাম, যাতে এটা কম হয়। সেটা ভালো ফল দিয়েছে। এখন রেমিট্যান্স আয়, অন্যান্য আয় যোগ করে যা হয়, ইমপোর্ট আয় যোগ করে যা হয়, ২ টার মধ্যে একটা কারেন্ট ডিকাউনটে ভারসাম্যে পৌঁছে গেছি। এটা ভালো খবর', বলেন তিনি।

রিজার্ভ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'আমাদের রিজার্ভ নিয়ে গত কয়েকদিন একটানা আপনারা সকালে কত, বিকেলে কত, শুক্রবারে কত, রোববারে কত তথ্য দিয়েছিলেন। উই অ্যাপ্রিসিয়েট ইট, ভেরি গুড। এখন সোমবারে যে একটু বেড়েছে, মঙ্গলবারে যে সামান্য এককদম বেড়েছে, এটাও দয়া করে বলুন। আপনাদের অনুরোধ করব। কারণ আপনারা নিরপেক্ষ মানুষ, আপনারা গণমাধ্যম, একটি সুন্দর-স্থিতিশীল অবস্থা আপনারা তুলে ধরবেন আমরা আশা করি। আমরা আপনাদের আদেশ দিতে পারি না। আপনারা ফ্রি। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আপনারা স্বাধীন। কিন্তু, আশা করব আপনারা ২ প্রবণতাই তুলে ধরবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Malaysia agrees to recruit 'large number' of Bangladeshi workers

Assurance will be given to ensure their wages, safety, and overall welfare, according to ministry officials

1h ago