ম্যারাডোনার জন্য আর্জেন্টিনা সমর্থন করি: পরীমনি

পরীমনি, লিওনেল মেসি, ম্যারাডোনা,
পরীমনি। ছবি: স্টার

৪ বছর পর শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ফুটবল ভক্তদের উন্মাদনা শুরু হয়েছে। সেই ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশেও। প্রিয় দলের জার্সি, পতাকা নিয়ে চলছে মাতামাতি। শোবিজ তারকারাও বসে নেই। তারাও কোনো না কোনো দল সাপোর্ট করেন।

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির পছন্দের দল আর্জেন্টিনা। তিনি প্রিয় দলকে নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

আপনার প্রিয় দল কোনটি?

অবশ্যই আর্জেন্টিনা। তবে, রাজের প্রিয় দল ব্রাজিল। দু'জনের ২ দল প্রিয়। এটার একটা মজা আছে। খেলা দেখার সময় উত্তেজনা নিয়ে দু'জনে খেলা দেখব। সুন্দর সময় কাটাব।

কবে থেকে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করেন?

অনেক আগে থেকে। ম্যারাডোনার জন্যই মূলত আর্জেন্টিনার ভক্ত। ম্যারাডোনা খেলার জাদুকর। আর মেসিকে বলব ম্যাজিক খেলোয়াড়। সেজন্য বলতে পারি, ম্যারাডোনার জন্য আর্জেন্টিনা সমর্থন করি।

সবখানে পতাকায় ভরে গেছে, আপনার বাসায় কোন দেশের পতাকা উড়ছে?

আমার বাসায় একটাই পতাকা, বাংলাদেশের পতাকা। সবার আগে আমার দেশ। নিজের দেশকেই বেশি ভালোবাসি। এজন্য বাংলাদেশের পতাকা এনেছি। কিন্তু, বাসায় জার্সি ২টা। আমার আর্জেন্টিনার, রাজের ব্রাজিলের।

ম্যারাডোনার দলকে সাপোর্ট করলেও ব্রাজিলের দল নিয়ে কিছু বলুন?

দেখুন, আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করলেও অন্য দলের সমর্থকদের মতো আমি হিংসুটে না। ব্রাজিলের নেইমারের খেলা পছন্দ করি।ভা এই দলের আরও অনেকের খেলা ভালো লাগে। খেলা তো এক ধরণের বিনোদন। হার-জিত থাকবেই। কিন্তু, তাই বলে ঝগড়া কেন?

নিজ দল নিয়ে বাজি ধরবেন?

না, না। খেলাটা খেলার মতো করেই দেখব। ভালোভাবে উপভোগ করব। বাজি ধরা যাবে না। বাজি ধরলে যদি হেরে যাই? বরং রাজ ও আমি একসঙ্গে খেলা দেখব এবং খেলাটা উপভোগ করব।

কোন দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে?

এটা বলা কঠিন। সব দলই চায় জয়ী হতে। কিন্তু জয় তো পাবে একটি দেশ। তারপরও আর্জেন্টিনার জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। এছাড়া আমি চাইব ফাইনালে আমার দল আর্জেন্টিনা ও রাজের দল ব্রাজিল খেলুক। তুমুল প্রতিযোগিতামূলক একটি খেলা হোক। আমরা উপভোগ করব। সারাবিশ্ব উপভোগ করুক। খেলা তো এমনই হওয়া উচিত।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago