‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত, প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা’

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে আমি মনে করি, এই মুহূর্তে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত আছে। এখন শুধু প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও অংশগ্রহণ।

 তিনি বলেন, 'এজন্য বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আহ্বান করে আলোচনা করা হয়েছে। যে কোনো দল এখনো চাইলে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে।'

আজ শনিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

এর আগে নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে (টাউন হাইস্কুল) প্রাথমিকভাবে বাদ পড়াদের ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।

তিনি আরও বলেন, 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করে সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমাদের কোনো আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে সংবিধানে আমাদেরকে যেসব বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে। এছাড়াও সংবিধানে অনেক বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব আছে। রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমাদের কাজ আমরা সঠিকভাবে করছি কিনা তা দেখেন আপনারা।'

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'এসব নিয়ে সরকার ও নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় কথা বলবে। আমাদের কাজ শুধুমাত্র সংবিধান অনুযায়ী সঠিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। এতে যা করণীয় তার সবকিছুই আমরা করব। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া, তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়াসহ যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে।'

৩০০ আসনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'সারাদেশের সব আসনের ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজন সাড়ে ৩-৪ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ইচ্ছে রয়েছে। তবে বিষয়টি এই মুহূর্তে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। কারণ সাড়ে ৩-৪ লাখ ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া কতোটা কঠিন, সেটাও চিন্তা করা হচ্ছে।'

জামায়াতে ইসলামীর নতুন দলের নামে নিবন্ধনের বিষয়ে আহসান হাবিব খান বলেন, 'প্রত্যেকটি নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নিদিষ্ট আইন রয়েছে। আইন অনুযায়ী সকল নিয়ম অনুসরণ করলে সেক্ষেত্রে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কোনো রাজনৈতিক দলের খাতা কলমে ঠিক থাকলেও ভেতরের সবকিছু নাও ঠিক থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও গভীরে গিয়ে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। যাতে স্বাধীন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ছবিসহ ভোটার হালনাগাদ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে দেখলাম, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটার হতে এসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। তার মানে তাদের আগ্রহ রয়েছে নিজেদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার। একটি সুষ্ঠ, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সকল দায়িত্ব শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনেরই নয়। দেশের সকল নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল আচরণ ও ভূমিকা রাখতে রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Make right to vote a fundamental right

The Constitutional Reform Commission proposes voting to be recognised as a fundamental right, so that people can seek legal remedies if it is violated.

14h ago