‘দ্বৈত ভোটার’ সাবরিনাকে ২২ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ

ডা, সাবরিনা শারমিন হুসাইন। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া তথ্যসহ ২টি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেনকে আগামী ২২ নভেম্বর আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সাবরিনার আইনজীবী প্রনব কুমার কান্তি তাকে জেল হেফাজতে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন প্রদানের জন্য একটি আবেদন জমা দেওয়ার পর এই আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন।

সাবরিনার উপস্থিতিতে ওই আবেদনের শুনানি করার জন্য আদালতে আবেদনও জানান প্রনব কুমার কান্তি।

গত ১৯ জুলাই ভুয়া কোভিড সনদ ইস্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবরিনা এখন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দি আছেন। একই মামলায় সাবরিনার স্বামী ও জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ আরও ৬ আসামিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ৩০ আগস্ট গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন মিয়া সাবরিনার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি ২টি জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগে বাড্ডা থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণী ও ইসির এনআইডি বিভাগ থেকে জানা যায়, আটক সাবরিনা ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ভোটার হন। ওই পরিচয়পত্রে তিনি তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে মোহাম্মদপুরের নাম উল্লেখ করেন। জন্মতারিখ দেন ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। স্বামীর নাম দেন 'হক'। নিজেকে অভিহিত করেন 'স্নাতকোত্তর' হিসেবে।

কিন্তু ২০১৬ সালে জারি করা দ্বিতীয় এনআইডিতে তিনি বাড্ডায় তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং তার স্বামীর নাম 'আরিফুল চৌধুরী' বলে উল্লেখ করেন। ওই আইডিতে তিনি তার জন্মতারিখ ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর উল্লেখ করেন। এখানে মায়ের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নিজেকে 'স্নাতক' বলে অভিহিত করেন।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

8h ago