বাংলাদেশে ওষুধ ও চামড়াখাতে বিনিয়োগে ইরাকি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ

বাংলাদেশে ওষুধ ও চমড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইরাকের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে সফররত ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা আজ তাদের এই আগ্রহের কথা জানান। তারা বলেছেন একক কিংবা যৌথভাবে এই বিনিয়োগ হতে পারে।
ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর পরিচালনা পর্ষদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ওষুধ ও চমড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইরাকের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে সফররত ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা আজ তাদের এই আগ্রহের কথা জানান। তারা বলেছেন একক কিংবা যৌথভাবে এই বিনিয়োগ হতে পারে।

ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ বৈঠক করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর পরিচালনা পর্ষদ।

ডিসিসিআইতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইরাকি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বাংলাদেশ হতে আরও বেশি পরিমাণে শাক-সবজি, আলু, আম, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির আহ্বান জানান। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের পাশাপাশি এদেশে হতে আরও বেশি দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়াও প্রস্তাব দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।

সুলাইমানি চেম্বারের চেয়ারম্যান সিরওয়ান মোহাম্মদ মাহমুদ জানান, তার দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত তৈরি পোশাকের প্রচুর চাহিদা আছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু এবং ডিসিসিআই ও সোলাইমানি চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই করার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ওষুধ ও চমড়াখাতে একক বা যৌথ বিনিয়োগে ইরাকের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও ইরাকের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৭.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৯.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Comments