বাংলাদেশের জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে রুশ বিনিয়োগের আহ্বান ঢাকা চেম্বার সভাপতির

রাশিয়া, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ডিসিসিআই, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র,
ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়ন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত রাশিয়ার উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার ডিসিসিআই আয়োজিত 'বাংলাদেশ-রাশিয়ার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নয়ন' বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, 'গত ১৫ বছরে আমাদের অর্থনীতির আকার প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ বাস্তবায়নে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিশেষ করে শিল্পখাতে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত রাশিয়ার উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।'

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের কৃষির আধুনিকায়ন, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সেবা ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

'বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৯৬৫ দশমিক ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ যথাক্রমে ৫০৫ দশমিক ২২ এবং ৪৬০ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যে রাশিয়ার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন শিল্পখাতে ১৭ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে,' বলেন তিনি।

বাংলাদেশ হতে তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, হালকা-প্রকৌশল, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা, সিরামিক ও আইটি ও আইটিএস পণ্য বেশি বেশি আমদানির জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এসময় ভারতের নিযুক্ত রাশিয়ার ট্রেড কমিশনার ড. আলেক্সন্ডার রায়রাস বলেন, 'দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।'

'বাংলাদেশে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়া ইতোমধ্যে এগিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, '২০২৩ সালে রাশিয়া প্রায় ২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, কেমিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে রাশিয়ার একক ও যৌথ বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ আছে।'

রাশিয়ার দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ইকাটেরিনা সিমিনোভা বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে।'

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুই দেশের বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিদের সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

8h ago