‘সিলেটে হরতাল হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হরতালের আগের দিন যাবেন’

মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে আগামী ১৯ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, 'হবিগঞ্জ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শ্বশুরবাড়ি। অন্যদিকে এই সমাবেশ সিলেট বিভাগের সম্মানের বিষয়। তাই হবিগঞ্জ জেলার ১৫টি ইউনিট থেকেই মানুষ যাবে। সবাই যাবেন নিজ উদ্যোগে। যদি হরতাল হয়, তাহলে হরতালের আগের দিন যাবেন বলেও অনেক নেতা-কর্মী বলেছেন।'

সমাবেশে যোগ দিতে কত মানুষ যেতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আগে আমরা বলতে পারতাম কত মানুষ যাবে সমাবেশে। কিন্তু এখন বলা মুশকিল। কারণ এখন এই আন্দোলন গণমানুষের হয়ে গেছে।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নীচে এখন মাটি নেই। সরকার শত চেষ্টা ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না। জনগণ রাজপথে নেমে আসছে। শুধু গণসমাবেশ নয়, বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতেই জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। কর্মীসভাও গণসমাবেশে পরিণত হচ্ছে। যার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে গণবিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।'

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু বলেন, 'আগামী ১৯ তারিখ সিলেটের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তর হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছি। প্রচারণার ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। মানুষও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছেন। দেশের অন্য স্থানের চেয়ে সিলেটে বেশি মানুষ সমাবেশে অংশ করবে বলে আশা করছি।'

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, 'দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন করছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ হিটলারের প্রেতাত্মা। এই আওয়ামী লীগ ১৬৪ দিন দেশের অর্থনীতিকে জিম্মি করে গাল চিপে ধরে চিটাগাং পোর্ট বন্ধ করে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য জ্বালাও-পোড়াও ও লগি-বৈঠার আন্দোলন করেছিল। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ দেশকে অচল করেছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'সেদিন দেশকে রক্ষা করার জন্য বেগম জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ষষ্ঠ সংসদে পাশ করেন। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই পদ্ধতিকেই বাতিল করলো। এখন তারাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দিনের ভোট রাতে করছে। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। যত বাধাই আসুক, তা পেরিয়ে দলের সব নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

7h ago