রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে হবে না, কাজে লাগাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, 'রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে হবে না। সে টাকা কাজে লাগাতে হবে।'

আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

'এত ঘাত-প্রতিঘাতের পরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি আজকে রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। ৯৬ সালে আমি যখন নির্বাচন করলাম, ঠিক তার আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম।'

'আজ রিজার্ভ আমাদের কাজে লাগছে, কারণ আমরা করোনার টিকা দিয়েছি। আমাদের খাবার তেল সবকিছু বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। তারপর দুই বছর পর যখন বিশ্ব উন্মুক্ত হয়েছে, তখন ক্যাপিটাল ম্যাশিনারিজ এসেছে। আমাদের রিজার্ভ তো ব্যবহার করতেই হবে। আট বিলিয়ন আমরা আলাদাভাবে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছি। রিজার্ভ জমিয়ে রাখলে তো হবে না। সে টাকা কাজে লাগাতে হবে,' যোগ করেন তিনি। 

তিনি বলেন, 'আজ আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় বিমান কিনেছি। আমরা পায়রা নদীর ড্রেজিং নিজেদের অর্থায়নে করছি। নইলে এই টাকা বিদেশি ব্যাংক থেকে নিতে হবে। সেই টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে। আজকে আমরা নিজের ব্যাংক থেকে এই টাকা নিয়েছি। নিজেদের রিজার্ভ ব্যবহার করছি। এতে ঘরের টাকা ঘরে থাকছে।'

'অর্থনীতিকে গতিশীল করাই আমাদের লক্ষ্য' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ক্ষমতায় ছিল, দুর্নীতি-লুটপাট করে তারা এখন ষড়যন্ত্র করছে। আমার কথা বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।'

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'যুবসমাজকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব, যে বাংলাদেশ জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, তারই আদর্শ সামনে নিয়ে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২১-৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি। ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।' 

তিনি বলেন, 'সেই দেশ গড়ার জন্য আমাদের যুবসমাজকে কাজ করতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। দারিদ্রসীমায় বিএনপি রেখে গিয়েছিল ৪০ ভাগ, আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে নিয়ে এসেছি।'

'আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি' উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'রাস্তাঘাট উন্নত করে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ১০০টি ব্রিজ একসঙ্গে উদ্বোধন করা, আমি জানি না ইতিহাসে কেউ এর আগে করেছে কি না।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পারে। জাতির পিতা বলেছিলেন বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। যে যত কথাই বলুক বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা এগিয়ে যাব।'  

এর আগে দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর সমাবেশ উদ্বোধন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এরপর শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

7h ago