‘অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার’ মির্জা ফখরুলের মেয়ে শামারুহ মির্জা

পুরস্কারটি শামারুহ মির্জার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সম্মানজনক 'অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার' পুরস্কার পেয়েছেন ডা. শামারুহ মির্জা।

আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল গ্যালারিতে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। শামারুহ মির্জার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন গত বছরের বিজয়ী লুক ফারগুসন ও এসিটি চিফ মিনিস্টার অ্যান্ড্রু বার।

ডা. শামারুহ মির্জা টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুরস্কারটি শুধু ব্যক্তি আমি হিসেবে পেয়েছি, বিষয়টি মোটেই এরকম নয়। পুরস্কারটি আমাদের প্রতিষ্ঠান "সিতারাস স্টোরি"রও এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার। এই সম্মান বাংলাদেশের মানুষেরও।'

'আমি মনে করি এ ধরনের বড় অর্জন আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেয় এবং মনে করিয়ে দেয় যে, আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি সেই জায়গা থেকেই দেখছি', বলেন তিনি।

শামারুহ মির্জা একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী। ২০০৬ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে বাস করছেন। চিকিৎসক হলেও মূলত তিনি একজন নারী সংগঠক হিসেবে সমধিক পরিচিত।

বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের নারীদের তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য একটি নিরাপদ স্থান দিতে শামারুহ ২০১৭ সালে সিতারার গল্প (সিতারাস স্টোরি) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। বাংলাদেশে ২ জন নারী বীরপ্রতীক রয়েছেন। ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা ও তারামন বিবি। তাদের নামানুসারেই এই সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে। সি মানে সিতারা বেগম, আর তারা মানে তারামন বিবি।

এই সংস্থাটি কর্মশালা, আলোচনা, সেমিনার ও সৃজনশীল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে, যা নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য, অক্ষমতা, পারিবারিক সহিংসতা ও দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে সহায়তা করে। ২০২১ সালে স্বেচ্ছাসেবকমূলক ও অলাভজনক সংস্থাটিকে মানসিক স্বাস্থ্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। শামারুহ নিজেও ক্যানবেরা 'কমিউনিটি স্পিরিটস অ্যাওয়ার্ড ২০২১' পেয়েছিলেন।

'অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড' জাতীয় অস্ট্রেলিয়া দিবস কাউন্সিলের একটি প্রোগ্রাম। প্রতি বছর দেশটি এই পুরস্কারের মাধ্যমে সেসব বিশিষ্ট অস্ট্রেলিয়ানদের কৃতিত্ব ও অবদানকে উদযাপন করে, যারা সবার জন্য আদর্শ নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা তাদের কৃতিত্বের মাধ্যমে জাতিকে অনুপ্রাণিত করেন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক অস্ট্রেলিয়া তৈরিতে নিজ অবদান রাখার জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন।

ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ডে কাউন্সিল বোর্ড ৩২টি রাজ্য ও অঞ্চল থেকে বছরের সেরা অস্ট্রেলিয়ানদের নির্বাচিত করে। অস্ট্রেলিয়া দিবসের প্রাক্কালে ক্যানবেরায় জাতীয় পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে বছরব্যাপী মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

১৯৬০ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার পুরস্কারটি অস্ট্রেলিয়া দিবসকে ঘিরে উদযাপনের অংশ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় পুরস্কার হয়ে উঠেছে।

৪টি ক্যাটাগরিতে এসিটি পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলো হলো— এসিটি অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার, এসিটি সিনিয়র অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার, এসিটি ইয়াং অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার ও এসিটি লোকাল হিরো। এবার এই ৪ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে আজ ৪ ক্যাটাগরিতে ৪ জন ফাইনালিস্ট পুরস্কার পেলেন। আগামী বছর ২৫ জানুয়ারি জাতীয় পুরস্কার ঘোষণার দিন অন্যান্য রাজ্য এবং অঞ্চলের পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে 'ফাইনালিস্ট' হিসেবে তারা যোগ দেবেন।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

8h ago