অস্ট্রেলিয়ায় ৩ মে সাধারণ নির্বাচন

ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করছেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। ছবি: এএফপি
ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করছেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, আগামী ৩ মে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।

আজ শুক্রবার আলবানিজের এই ঘোষণার বিষয়টি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

অশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপ-রাষ্ট্রটির নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগ, পরমাণু শক্তি ও আবাসন খাতের পরিস্থিতি। 

আলবানিজের মধ্য-বামপন্থি লেবার পার্টি ২০২২ সালের মে মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর জনপ্রিয়তা হারানো কনজারভেটিভ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার দল। 

শুরুতে আলবানিজের (৬২) সরকারকে ঘিরে আশা-প্রত্যাশা ও উৎসাহ থাকলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছে তার দল। তিন বছর মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে আলবানিজের সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জনমত জরিপে ডানপন্থি নেতা পিটার ডাটন (৫৪) ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ প্রায় একই ধরনের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আসন্ন নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

মুখোমুখি দুই প্রার্থী 

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ (বাঁয়ে) প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডাটনের (ডানে) সঙ্গে কথা বলছেন। ফাইল ছবি: এএফপি
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ (বাঁয়ে) প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডাটনের (ডানে) সঙ্গে কথা বলছেন। ফাইল ছবি: এএফপি

কট্টরপন্থি সাবেক গোয়েন্দা পিটার অভিবাসনে কাটছাঁট ও পরমাণু শক্তির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে আগ্রহী। 

প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, 'গত কয়েক বছরে বিশ্ব পরিস্থিতি বারবার অস্ট্রেলিয়াকে অনিশ্চিত সময়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।'

'তবে দেশের জনগণের শক্তি ও সহনশীলতার কারণে অস্ট্রেলিয়া এসব বাধা পেরিয়ে এসেছে। এখন, ৩ মে, আপনারা এগিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেবেন', যোগ করেন তিনি। 

আলবানিজ ঘোষণা দেন, তিনি 'জন্ম থেকেই' জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, শুল্ক নিয়ে হয়রানি ও মূল্যস্ফীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।

তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বিদেশি শক্তির নাক গলানোর বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, '(আপনারা) দূরে থাকুন।'

কয়লা-খননের দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনের দুই প্রধান প্রার্থী জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে পুরোপুরি বিপরীতধর্মী অবস্থান বজায় রাখেন।

আলবানিজের সরকার কার্বন নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা এমন এক ভবিষ্যতের বিষয়ে হুশিয়ারি দিয়েছে, যেখানে খনিজ লোহা ও দূষণ সৃষ্টিকারী কয়লা রপ্তানির ওপর দেশটির অর্থনীতি আর নির্ভর করতে পারবে না।

তার নির্বাচনী প্রচারণার মূল সুর 'অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যত নির্মাণ'। এর মধ্যে টেকসই জ্বালানি ও সবুজ উৎপাদনে বড় আকারে প্রণোদনার নীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে, ডাটনের প্রচারণা 'অস্ট্রেলিয়াকে উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনা'।

ডাটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্পের মাধ্যমে সাতটি বাণিজ্যিক পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ। তিনি টেকসই জ্বালানির উৎস খোঁজার বিষয়টিকে একেবারেই পাত্তা দেন না।

পাশাপাশি, তিনি ২৫ শতাংশ অভিবাসন কমানো ও অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও 'কঠোর' নীতি প্রণয়নের কথা জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

2h ago