৫ বছর ধরে আটকে আছে নতুন তিস্তা রেলসেতু প্রকল্প

তিস্তা রেলসেতু
মেয়াদোত্তীর্ণ তিস্তা রেলসেতুতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

প্রায় ৫ বছর আগে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ওপর ব্রডগেজ তিস্তা রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হলেও এখনো তা ফাইলবন্দি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আশার বাণী শোনাতে পারছেন না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

১৯০১ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর ১০০ বছরের মেয়াদকাল শেষ হয় ২০০১ সালে।

১ হাজার ৯৫০ ফুট দীর্ঘ মেয়াদোত্তীর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ১৪ ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

লালমনিরহাট রেলওয়ে অফিস সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সৈন্যরা তিস্তা রেলসেতুতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে এর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে তা মেরামত করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়।

১৯৭৮ সালে রেলসেতুর ওপর কাঠের পাটাতন বসিয়ে বাস চলাচলের উপযোগী করা হয়।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার প্রবেশদ্বার তিস্তা রেলসেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে ২০১২ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তিস্তা রেলসেতুর পাশে তিস্তা সড়কসেতু নির্মাণ করে।

তবে মেয়াদোত্তীর্ণ রেলসেতু দিয়ে এখনো ট্রেন চলাচল করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, রেলমন্ত্রী ও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কয়েকবার তিস্তা রেলসেতু পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেসময় তারা খুব শিগগির নতুন তিস্তা রেলসেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন।

নতুন সেতু নির্মাণের নমুনা দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে স্থানীয়রা জানান, তিস্তা রেলসেতুর স্প্যানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুটির ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের সময় কাঁপে। তখন ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়।

ট্রেনচালক মানিক ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তিস্তা রেলসেতুর ওপর গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু সেতুটি মেয়াদোত্তীর্ণ তাই এটি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে।'

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আব্দুস সালাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তার ওপর ব্রডগেজ ডিজাইনে নতুন রেলসেতু নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে রেলওয়ে। এ নিয়ে কাজ চলছে। আপাতত এ প্রকল্প নিয়ে আশার বাণী না থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

9h ago