খোকসা উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে হামলায় পোলিং এজেন্ট আহত

রহমান
কুষ্টিয়ার খোকসার কাদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত পোলিং এজেন্ট রহমান খোকসা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: স্টার

সংঘর্ষ মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন। আজ বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই খোকসার কাদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাবুল আক্তার ও জাসদ নেতা মোতাহার হেসেন খোকন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্থানীয় সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মোতাহার হেসেন খোকন ওই কেন্দ্রে খোকসার একতারপুর এলাকার রহমানকে পোলিং এজেন্ট করেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাবুল আক্তারের পোলিং এজেন্টের সঙ্গে রহমানের কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে রহমানকে মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ভোটগ্রহণ চলছে।'

এ উপনির্বাচন নিয়ে গত প্রায় এক মাস ধরেই উপজেলা উত্তপ্ত রয়েছে। হামলা-মামলা ও সর্বশেষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে গোলাগুলিতে খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শিমুল আহমেদ খানের ছোট ভাই আব্দুল আওয়াল কনক খান গুলিবিদ্ধ হন। রাত ৯টার দিকে খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের মাশিলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগ সভাপতি শিমুল খান ও তার ভাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো জাসদ নেতা মোতাহার হেসেন খোকনের অনুসারী।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতা শিমুল খান ও তার ভাই এলাকায় অঘটন ঘটিয়ে আসছেন। এ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করে। গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আওয়াল খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।'

তিনি আরও জানান, গত শনিবার উপজেলার একতারপুর বাজারে খোকনের অনুসারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

এর আগে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাবুল আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই আমাকে হারাতে একটি গ্রুপ বিতর্কিত লোকদের নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। তারাই নানা অঘটন ঘটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন।'

মোতাহার হেসেন খোকন ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। জনগণ আমাকে চায়। যারা আমাকে চায় না তারাই গোলযোগ করছে।'

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ও তাদের কর্মীরা দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করার চেষ্টা করছে। এসব হামলা এরই অংশ।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবুল বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

'A brilliant lawyer, a defender of rights'

Chief adviser leads tribute to adviser AF Hassan Ariff who died at a Dhaka hospital today

5h ago