গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু ধসে নিহত বেড়ে ১৪১, উদ্ধার ১৭৭
ভারতের গুজরাট প্রদেশে ঝুলন্ত সেতু ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১ হয়েছে।
আজ সোমবার ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ সকাল পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা পানির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের কাজ করেছেন।
ব্রিটিশ আমলে গুজরাটের মোরবিতে নির্মিত এ সেতুটি গত সপ্তাহে সংস্কার চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগাভি গণমাধ্যমকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।'
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
গুজরাটের তথ্য বিভাগ জানায়, '১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন।'
তথ্য বিভাগ আরও জানায়, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী (এনডিআরএফ) ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা এক সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে বলেন, 'মোরবির মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এ বিষয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।'
'ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।
নিহতদের অনেকেই নারী ও শিশু বলে স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, রাজ্য সরকার নিহতের পরিবারকে ৪ লাখ ও আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেতুটি মাঝখান থেকে ভেঙে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
মোরবি সেতুটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক কাঠামো। গত ৬ মাস ধরে সংস্কারের পর গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সেতুটি আবার চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সেতু ধসের ঘটনায় বিরোধী দল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা গুজরাটের বিজেপি প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। দলের মুখপাত্র রনদিপ সুর্যওয়ালা এই দুর্ঘটনাকে 'মানুষের তৈরি অঘটন' হিসেবে মন্তব্য করে রাজ্য সরকারকে এর জন্য দায়ী করেন।
জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং প্রশ্ন তোলেন, 'এই ঘটনা কী সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এসেছে না ভণ্ডদের কাজের পরিণাম?
Comments