বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তা

বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছে। তবে তারা এখনো অনুমতি পাননি।

সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা সমাবেশের অনুমতি দিতে পারি না। এটি দেবে জেলা প্রশাসন। তারা আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন। আমি বলেছি, আপনারা সুন্দরভাবে কাজ করলে সব কিছু সুন্দর থাকবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। মন্তব্যের জন্য মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এদিকে বিএনপি যে ভেন্যু চেয়েছে, তার বর্তমান নাম বঙ্গবন্ধু উদ্যান। বিএনপির আবেদনে এই জায়গার নাম উল্লেখ করে হয়েছে 'বেলস পার্ক'। এটি বঙ্গবন্ধু উদ্যানের পুরনো নাম।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবেদনে বঙ্গবন্ধু উদ্যান উল্লেখ না থাকায় আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাদেরকে অন্য কোথাও অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

ভেন্যুর ব্যাপারে বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে বেলস পার্ক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুমতি পাইনি। তবে আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই সমাবেশ করব।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে সমাবেশ করব। যদি আমাদের বেলস পার্কে অনুমতি না দেওয়া হয়, পুরো বরিশাল যানজটে অচল হয়ে পড়বে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বরিশালে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ করব আমরা।

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর জানান তারা তাদের সমাবেশ করবে, আমাদের কী বলার আছে।

এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে বরিশালে শতাধিক হোটেল প্রায় ৭ হাজার সিট আগাম বুকিং হয়ে গেছে। অনেকেই হোটেলে আসতে শুরু করেছেন। বরিশালে হোটেল সেডোনার মালিক সুদাম ঘোষ জানান, হোটেলে ৪ ও ৫ তারিখে কোনো রুম খালি নেই।

বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বরিশালে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রেখেছে বাস মালিক গ্রুপ। মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধ না করা হলে আগামী ৪ ও ৫ তারিখ বাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

বাস মালিক গ্রুপের সহসভাপতি কিশোর কুমার দে বলেছেন, এটি বহু আগের সিদ্ধান্ত। বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি।

তবে লঞ্চ বন্ধ নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল লঞ্চ মালিকদের সংগঠনের সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু।

 

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

2h ago