নোয়াখালীতে ৪ দিনেও সব এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে নোয়াখালীতে বিদ্যুতের লাইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাটিতে গত চার দিনেও কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

আজ বুধবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ৯টি উপজেলার গ্রাহক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা স্থবির হয়ে আছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে ৯টি উপজেলায় ৭ লাখ ২১ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এখানে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬৫ মেগাওয়াট। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত রোববার থেকেই নোয়াখালীতে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয়। সেদিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ঘূর্ণিঝড়টি গত সোমবার সন্দীপ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ১৮৮টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৮০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

চাটখিল উপজেলার হাশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজ বেবি বলেন, গত চার দিন থেকে হাশর ও মলংমুড়ি গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ফ্রিজের মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী গ্রামের নুর জাহান বেগম বলেন, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে।

একই কথা বলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাসানহাট এলাকার বাসিন্দা শফিকুর রহমান বলেন।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকৈলাশ এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন ও আনোয়ার উল্লাহ জানান, গত রোববার সকাল থেকে তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। কেউ জানে না কবে বিদ্যুৎ আসবে।

নোয়াখালী পিডিবি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন বলেন, ঝড়ে পাঁচ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ক্ষতি হয়েছে। শহরে বিদ্যুতের ৬০টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অনেক এলাকায় তারের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। সাতটি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। এর ফলে ৬৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়েন। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাঁচটি টিম মাঠে কাজ করছে। বুধবার রাতের মধ্যে ৮০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago