চট্টগ্রামে ১ মাস ধরে মুয়াজ্জিন নিখোঁজ

চট্টগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন বন্দর উত্তর আবাসিক এলাকার মসজিদের এক মুয়াজ্জিন ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ আছেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে পুলিশ ও র‍্যাবের দারস্থ হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ বলছে, তিনি বাসায় মোবাইল ফোন রেখে নিখোঁজ হওয়ায় রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে এখনও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ খাদেমুল ইসলাম বন্দর উত্তর আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর রোডের হজরত কুতুববিল্লাহ (র) মসজিদের মুয়াজ্জিন। তিনি সন্দ্বীপ উপজেলা পৌরসভার শাহ আলমের ছেলে। পরিবার নিয়ে মসজিদের পাশের কোয়ার্টারে বসবাস করেন তিনি।

 নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী খেলনা বেগম বন্দর থানায় জিডি করেছেন।

নিখোঁজ খাদেমুলের ভাতিজা মোহাম্মদ হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার চাচা গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে বাইরে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। বাসায় তিনি মোবাইলও রেখে যান, সঙ্গে অন্য কিছু নিয়েও যাননি।'

খাদেমুলের স্ত্রী খেলনা বেগম বলেন, 'মসজিদের পাশের পুকুরে মাছ ধরার কথা বলে বাসা থেকে বের হন খাদেমুল। মেয়ে বাসায় কান্না করছিল বলে মেয়েকে মোবাইল দিয়ে যান। তিনি সঙ্গে অন্যকিছু নিয়ে যাননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি।'

'তার মধ্যে সন্দেহজনক কিছু ছিল না। তিনি ঋণগ্রস্তও ছিলেন না। আমরা থানায় জিডি করার পর পুলিশ তদন্ত করে। তাকে খুজতে আমরা র‍্যাবের কাছেও গিয়েছি। কিন্তু এখনও সন্ধান মেলেনি', যোগ করেন তিনি।

হজরত কুতুববিল্লাহ (র) মসজিদের মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি ও শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল ওহাব বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তিনি হাফেজ এবং এই মসজিদে ১০ বছরের মতো চাকরি করছেন। আমরাও তাকে খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় তথ্য দিয়েছি। নিখোঁজের আগে তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।'

বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি তদন্ত করেছি। তার মোবাইল চেক করা হয়েছে, তবে এখনও সন্দেহজনক কিছু শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজের বিষয়টি এখন কাউন্টার টেরিরজম বিভাগ তদন্ত করছে।'

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

42m ago