একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের রোকেয়া মোয়াজ্জেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বছরে প্রায় ৬ মাস পানিতেই ডুবে থাকে। শিক্ষা খেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
মেলান্দহ বিদ্যালয়
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের রৌমারি বিলে রোকেয়া মোয়াজ্জেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: স্টার

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের রোকেয়া মোয়াজ্জেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বছরে প্রায় ৬ মাস পানিতেই ডুবে থাকে। শিক্ষা খেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিদ্যালয়টি নিম্নাঞ্চলে নির্মাণ করায় সেখানে বছরে প্রায় ৬ মাস পানি থাকে। তাছাড়া, স্কুলে যাওয়ার ভালো রাস্তা এখনো নির্মাণ করা হয়নি।

ঝাউগাড়া ইউনিয়নের রৌমারি বিলে নির্মাণ করা বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিও গ্রীষ্মকালে কর্দমাক্ত থাকে। বৃষ্টিতে তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ঝাউগাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হিল্লুল সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। উঁচু জায়গা না থাকায় এখানেই এটি নির্মাণ করা হয়েছে।'

তার দাবি মাটি কেটে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ উঁচু করলে ও পাশে রাস্তা করে দিলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

মেলানদহ বিদ্যালয়
রৌমারি বিলে রোকেয়া মোয়াজ্জেম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: স্টার

হিল্লুল সরকার আরও বলেন, 'এ অঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় সরকার বিদ্যালয়হীন এলাকায় বিশেষ যে ১ হাজার ৫০০ বিদ্যালয়ের বরাদ্দ দিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে আমাদের স্কুলটি একটি।'

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহরে বানু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২ থেকে ৩ বার বন্যার পানি আসে। এবার ৪ বার পানি এসেছে। বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়। সেসময় পাশের গান্ধী আশ্রমে পাঠদান করি।'

কাপাশহাটি গ্রামের বাসিন্দা নুরুল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অধিকাংশ সময় এটি পানিতে ডুবে থাকে। আশপাশের রাস্তাও ডুবে যাওয়ায় প্রায় ৬ মাস বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রথম দিকে রাস্তায় পানি থাকায় অন্য জায়গায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হতো। এখন অন্য কোথাও পাঠদান চালু আছে কিনা জানি না।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ, 'ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিলের মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যালয়টি গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষার নামে আমাদের সন্তানদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।'

জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে দেখব এবং যে উদ্যোগ নিলে ভালো হয় তাই নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

Ex-president Badruddoza Chowdhury passes away

He breathed his last at 3:15am today while undergoing treatment at the Uttara Women’s Medical College

1h ago