ছাত্রলীগের মামলায় জামিন পাননি ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতা-কর্মী
হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের ২ নেতার দায়ের করা ২ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন আবেদন করেন। পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, অভিযোগকারী ও তাদের সহযোগীরা তার ক্লায়েন্টদের বেধরক মারধর করেছেন। অথচ ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং তারা হাজতে আছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। যে কারণে তারা জামিন পাওয়ার যোগ্য না।
গত শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৪ জনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুর রহমান বাদী হয়ে হয়ে শাহবাগ থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৪০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে শুক্রবার আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ ২৪ জনকে আটক করে। বুয়েটের শিক্ষার্থী ফাহাদ আবরারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১৩ জন আহত হন।
নিজাম তার এজাহারে উল্লেখ করেন, ৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা অবৈধভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হন এবং সরকারিবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকেন। অস্থীতিশীল পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কথা বলেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, নিজাম ও তার ১০ থেকে ১২ জন অনুসারী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা লোহার রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন।
আমিনুর তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ৭ অক্টোবর আমি যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আমার আহত বন্ধুকে দেখতে যাই, তখন অভিযুক্তরা লোহার রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা হামলা চালায়।
যদিও ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি নাহিদ হাসান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সেক্রেটারি আল আমিন রহমান হামলায় নেতৃত্ব দেন।
Comments