ডাক্তার বললেন হাঁটতে, রনি দিলেন দৌড়

কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কেবিনে ভর্তি আছেন। শারীরিক অবস্থা বুঝতে তিনি হাঁটতে পারছেন কি না, জানতে চাইলেন চিকিৎসক। রনি এ সময় কেবিন থেকে বেরিয়ে করিডোরে গিয়ে দৌড় দিলেন।
রনি
আবু হেনা রনি। ছবি: সংগৃহীত

কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কেবিনে ভর্তি আছেন। শারীরিক অবস্থা বুঝতে তিনি হাঁটতে পারছেন কি না, জানতে চাইলেন চিকিৎসক। রনি এ সময় কেবিন থেকে বেরিয়ে করিডোরে গিয়ে দৌড় দিলেন।

তার চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন দ্য ডেইলি স্টারকে এমনটিই জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার ও গত সোমবার কেবিনে গিয়ে দেখা যায়, রনি আশঙ্কামুক্ত আছেন, অপেক্ষায় আছেন বাড়ি ফেরার।

তার সহকারী সাদিক আল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রনি এখন মুখে খাবার খেতে পারছেন স্বাভাবিকভাবে। ফুরফুরে মেজাজে আছেন তিনি। চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে তিনি কৌতুক করছেন। বাড়ি ফিরে একটু বিরতি নিয়ে আবার নতুন করে মঞ্চ কাঁপানোর পরিকল্পনা করছেন।'

জানতে চাইলে ডা. সামন্ত লাল সেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রনিকে আমরা শিগগির ছেড়ে দেবো।'

রনি আবার মঞ্চে ফিরতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে ডা. সেন বলেন, 'তার মঞ্চে ফিরতে কোনো বাধা হবে না। তার যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, আশা করছি সেটা তার পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলবে না।'

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনে মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন আবু হেনা রনি ও আরও ৪ পুলিশ সদস্য। 

দগ্ধদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় রনি ও জিল্লুর রহমানকে। 

পরদিন ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, আবু হেনা রনির ২ হাত, কান ও মুখের কিছু অংশসহ শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের দগ্ধ হয়েছে ১৯ শতাংশ। তাদেরকে ড্রেসিংয়ের পর এইচডিইউতে রাখা হয়েছিল।  

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh per capita foreign debt 2024

Per capita foreign debt more than doubles in eight years

Per capita foreign debt of Bangladesh more than doubled in the last eight years, according to official data, as economists attribute the hike to unplanned foreign-funded projects and corruption, ultimately ballooning the liability on low-income people, including the extremely poor.

13h ago