‘সরিষাবাড়ীতে ১০০ জনে ৫ জন চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত’

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চোখ ওঠা (কনজাংটিভাইটিস) রোগের  প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ।

এতে প্রায় সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হলেও স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে।

চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তদের কালো চশমা ব্যবহার করছেন। গত প্রায় ১০-১২ দিন ধরে উপজেলা হাসপাতাল, ফার্মেসি এবং পল্লী চিকিৎসকের কাছে চোখ ওঠা রোগীর বেশ ভিড় হচ্ছে বলে জানা গেছে।

চিলড্রেনস হোম পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, গত ৫-৬ দিন ধরে তার চোখ লাল হয়ে আছে। হালকা জ্বরও আছে। তার ক্লাসের প্রায় সবারই চোখ উঠেছে।

চিলড্রেনস হোম পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল ফজলুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুলের অনেক ছেলে-মেয়ের চোখ ওঠায় ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কমে গেছে।'

আরামনগর বাজারের সেবা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী তপন মিয়া ডেইলি স্টারকে জানান, ফার্মেসিতে চোখের ড্রপ বিক্রি বেড়ে গেছে। ড্রপের চাহিদাও ব্যাপক বেড়েছে।

যোগাযোগ করা হলে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সেলিম রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পরিবারের তিনি ছাড়া সবার চোখ উঠেছে। হাসপাতালেও চোখ ওঠা রোগ নিয়ে অনেক মানুষ আসছেন। 

রোগীদের প্রাথমিকভাবে ক্লোরামফেনিকল আইড্রপ দেওয়ার পাশাপাশি সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ রাজবংশী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি একটি সিজনাল ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। সরিষাবাড়ীতে বর্তমানে প্রতি ১০০ জনে ৫ জন এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।'

'কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ ভালো হয়ে যায়,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

3h ago